ঈদে ‘হালাল পোশাকে’র চাহিদা কম

0
271

Sharing is caring!

ঈদে ‘হালাল পোশাক’ বা ‘মার্জিত ফ্যাশন’র চর্চা হয় না বললেই চলে। ঈদ ধর্মীয় উৎসব হলেও ‘ধর্মীয় পোশাকে’র চাহিদা কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদে পুরুষের পাজামা-পাঞ্জাবির ব্যবহার থাকলেও নারীদের ‘মার্জিত’ ফ্যাশনের প্রতি নজর কম। তারা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন পোশাক কিনতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

- Advertisement -

রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে এরই মধ্যে জমে উঠেছে কেনাকাটা। বাজারে আসছে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নানা ধরনের বাহারি পোশাক। এসব পোশাকের রয়েছে আবার ভিন্ন নাম। কিরণমালা, পাখি, সানি লিওনের পর এবার এসেছে বাহুবলী-২, সুলতান সুলেমান, হুররম সুলতান।

এসব পোশাক কেনার পাশাপাশি বাজার ঘুরে তরুণ-তরুণীরা কিনছেন জিন্স প্যান্ট আর ফতুয়া। আবার কেউ কেউ ঈদ ফ্যাশন হিসেবে বেছে নিয়েছেন পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নানা পোশাক।

এ বিষয়ে ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ওবায়দুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইসলামে ফ্যাশন নাজায়েজ নয়, তবে তা হতে হবে হালাল। কেবল আলেম-ওলামাদের ফতোয়া নয়, বিভিন্ন জরিপেও হালাল পোশাকের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ইসলাম রুচিশীল, মার্জিত ও মর্যাদাশীল ফ্যাশনকে প্রমোট করে।’

তিনি জানান, মালয়েশিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘কিনারা মেচান’ আয়োজিত জরিপে ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি ও হালাল পোশাক’ বা ‘মার্জিত পোশাক’র ব্যবহার জরিপ-২০১৬ গবেষণা প্রতিবেদনে বিশ্বে প্রথম হয়েছে ইন্দোনেশিয়া। পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তাইওয়ান এবং সিঙ্গাপুর। এই চিত্রকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন এই ইসলামী চিন্তাবিদ।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘কিনারা মেচান’র পরিচালক জাবাল বিন আহমাদ বলেন, বৈশ্বিক ইসলামী অর্থনীতি ২০১৬-২০১৭ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার তরুণদের মধ্যে ‘মার্জিত পোশাক’ কিংবা ‘হালাল পোশাক’ নিয়ে আলোচনা সবচেয়ে বেশি। তবে অমুসলিম দেশগুলো বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, হংকং, ফিলিপাইন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মানুষদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিশেষ আগ্রহের কারণে আলোচনায় এসেছে।

(Visited 3 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here