তিনি বললেন ‘আজাইরা দরদ দেখানোর লোকের অভাব নাই!’

0
424

Sharing is caring!

গতকাল দুপুরের দিকে আমি রাপা প্লাজা থেকে আসছি। হঠাৎ-ই চোখে পড়লো এ দৃশ্য।

- Advertisement -

রিকশাতে যারা বসা খুব সম্ভবত তারা স্বামী-স্ত্রী। কারণ, মহিলার সাথে আমি ঘণ্টাখানেক আগেই রাপার ম্যাচিং ফেয়ারে কাপড় দেখছিলাম। সাথের পুরুষ মানুষটি স্ত্রীর সঙ্গে যেভাবে কথা বলে ওভাবেই বলছিলেন। রিকশার পেছনের মেয়েটি তখন দাঁড়িয়ে ছিলো তাদের পাশেই।

আমি মার্কেট থেকে বের হয়ে উনাদের আবারো দেখলাম। হঠাৎ দেখলাম তারা রিকশা নিলেন, রিকশায় দুজন উঠলেন, মেয়েটিকে অবলীলায় রিকশার পেছনে অ্যাঙ্গেলে দাঁড়াতে বললেন। ৯/১০ বছরের মেয়েটিও রিকশার পেছনে চুপচাপ দাড়িয়ে পড়লো। হয়তো সে অভ্যস্ত এভাবেই।

মেয়েটির পা বারবার দেখি সরে দাঁড়াচ্ছে চলন্ত রিকশা থেকে… হয়তো রিকশার চেইনে পা লাগার ভয়ে। আমার সহ্যর সীমা ছাড়িয়ে গেলো। আমি মহিলাকে ডাক দিলাম পেছন থেকে। তাকালেন উনি। বললাম, আলাদা একটা রিকশা নিন প্লিজ… মেয়েটা পড়ে যাবে!

উনি আমার দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলেন, “আজাইরা দরদ দেখানোর লোকের অভাব নাই!”

সাথে সাথে ফোনটা বের করে ছবি তুললাম। অমানুষ দুইটার চেহারা তুলতে পারিনি। কারণ, রিকশা ততক্ষণে জোরে চলা শুরু করেছে। উদ্দেশ্য ছিলো সামনের মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে দাঁড় করাবো তাদের। পারলাম না তার কিছুই!

প্রায়ই শোনা যায়, গৃহকর্মীরা নির্যাতীত হয় কাজ করতে এসে। পেটের তাগিদে আরেকটা মানুষের কাছে এসে এমন মনষ্যত্বহীন আচরণ তাদের কপালে জোটে যা সচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। বিষয়টা খুব একটা হজম হয় নাই আমার আজ। আল্লাহ্‌ মানুষকে বিবেক দিক।

(Visited 9 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here