পড়াশোনা দেশে, ডিগ্রি বিদেশের

0
379

Sharing is caring!

সময়ের সাথে চাকরির বাজারে বাড়ছে প্রতিযোগিতা। দেশে প্রতিবছর যে হারে গ্রাজুয়েট তৈরি হচ্ছে তার তুলনায় চাকরির ক্ষেত্র খুবই সীমিত। গতানুগতিক ক্যারিয়ারের বাইরে তরুণরা খুঁজছে ভিন্ন কিছু। বিশ্বায়নের যুগে তরুণদের দৃষ্টি তাই বহির্বিশ্বে। তবে বহির্বিশ্বে চাকরির বাজারে প্রবেশে প্রধান বাধা মানসম্মত ডিগ্রি। কারণ, বিদেশে চাকরির জন্য যে শর্ত থাকে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা পূরণ করতে পারে না। বাংলাদেশে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে দেশের বাইরে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া অনেক দেশেই বাংলাদেশের ডিগ্রিকে সরাসরি গ্রহণ করা হয় না। ওইসব দেশে পুনরায় পড়াশোনা করে চাকরির উপযোগী করে নিজেকে গড়ে তুলতে হয়। আর সেক্ষেত্রে নতুন করে টাকা খরচ করতে হয় চাকরি প্রত্যাশীদের।

- Advertisement -

বিশ্বায়নের এ যুগে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশে বসেই ডিগ্রি লাভের সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ফলে বাংলাদেশে থেকেই বিদেশি ডিগ্রি অর্জন করে স্বপ্ন পূরণের পথ তৈরি হয়েছে। দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে থেকেই শিক্ষার্থীরা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পছন্দের বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করতে পারছে। কিন্তু খরচ পড়ছে বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার মতোই।

ভুঁইয়া একাডেমি, ব্রিটিশ স্কুল অব ল, নটিংহ্যাম ল একাডেমি, ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি, বিএসি ইন্টারন্যাশনাল, বৃটিশ স্কুল অব ল, ক্যামব্রিজ বিজনেস এন্ড ল একাডেমি, চাটার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজসহ বাংলাদেশে প্রায় ১৪টির অধিক প্রতিষ্ঠান এই কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত।

এসব প্রতিষ্ঠানে পড়ে দেশে থেকে যুক্তরাজ্যের অনার্স কোর্স করতে সর্বসাকুল্যে খরচ হয় ছয় থেকে আট লাখ টাকা। এ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা যে সার্টিফিকেট অর্জন করছে তা যুক্তরাজ্যে গিয়ে অনার্স পড়ার অনুরূপ। এছাড়া এসব কোর্সের প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষ শেষ করার পর ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো দেশে গিয়ে কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এসব কোর্সের সনদ সমতা বিধান করে।

বিদেশি ডিগ্রি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠাগুলোর অধিকাংশই যুক্তরাজ্যের এডেক্সেল শিক্ষাবোর্ড ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দেশে থেকেই আইন (ল’) বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। তবে বিএসি ইন্টারন্যাশনাল আইন (ল’) বিষয় ছাড়াও বাণিজ্য (বিজনেস) এবং তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিষয়ে ডিগ্রি অফার করে থাকে। বাংলাদেশে একমাত্র বিএসি ইন্টারন্যাশনাল লন্ডনের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স ডিগ্রীও অফার করে। ডার্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ (অনার্স) ইন বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, বিএ (অনার্স) ইন ল’, বিএসসি ইন আইটি এবং এলএলএম প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে বিএসি ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে। তাছাড়া লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি এবং ডিপ্লোমা ইন ল’ প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে পাস করার পর যুক্তরাজ্যে গিয়ে ব্যারিস্টার হওয়ার সুযোগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। বিজনেস, আইটি এবং ল’ বিষয়ে ইউকে এর বিখ্যাত শিক্ষাবোর্ড এডেক্সেল এর এফডি (ফার্স্ট ডিপ্লোমা), এনডি (ন্যাশনাল ডিপ্লোমা), এইচ এন সি (হায়ার ন্যাশনাল সার্টিফিকেট) এবং এইচএনডি (হায়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোমা) কোর্স অফার করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

শিক্ষার্থী তাসনুভা আহমদে বলেন, ২০১২-১৩ সেশনে পড়ালেখার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলাম। তবে, সেখানকার লাইফস্টাইলের সাথে মানিয়ে নিতে পারিনি। পড়ালেখাটাও বেশ কঠিন মনে হচ্ছিলো। আর টিউশন ফি তো আছে। তাই দেশে ফিরে বিএসি ইন্টারন্যাশনালে ভর্তি হয়েছি। এখন এখান থেকেই বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিতে পারছি।

(Visited 15 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here