শত্রুর রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম যেসব বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান!

0
333

Sharing is caring!

বিশ্বজুড়ে পরাশক্তিগুলো ব্যস্ত নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায়। পরমাণু অস্ত্র, যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, রকেট লঞ্চারসহ নানা মরণঘাতি যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণের প্রতিযোগিতায় মত্ত দেশগুলো।

- Advertisement -

প্রযুক্তির কল্যাণে এমন সব যুদ্ধবিমান আবিষ্কৃত হয়েছে যে গুলো শত্রুর রাডারের চোখ ফাঁকি দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। এমন কিছু বিমানের তথ্য নিয়েই আমাদের এই প্রতিবেদন-

রুশ মিগ-৩৫:

রুশ অত্যাধুনিক মিগ-৩৫ যুদ্ধবিমান শত্রু পক্ষের রাডারের চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম। রাশিয়ার মিগের প্রস্তুতকারক সংস্থা রাশিয়ান মিকুইয়ান সংস্থা। মিগ-৩৫ লকহিড মার্টিনের উন্নত সংস্করণ যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ এর থেকেও উন্নত। মিগ-৩৫ একটি ফিফথ জেনারেশন ফাইটার জেট। প্রতিঘন্টায় এর গতি ১ হাজার ৬১৬ মাইল। এতে রয়েছে ‘স্টেলথ মোড’, অর্থাৎ শত্রুর রাডারে ধরা পড়ার কোনও ভয় নেই। রয়েছে নয়া অস্ত্রশস্ত্র ও ডিফেন্স সিস্টেম। হালকা অথচ মাল্টি-ফাংশনাল এই বিমান মারণক্ষমতা সম্পন্ন।

ইরানের কাহার এফ-৩১৩:

ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ‘স্টিলথ’ যুদ্ধবিমান কাহার এফ-৩১৩। তাঁদের এই বিমান রাডারের চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম। যুদ্ধবিমানটি দেখতে ইস্পাতের মতো ধূসর বর্ণের। বিমানটি ‘উন্নত উপাদান’ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং এতে খুবই নিম্নমাত্রার ‘রাডার সিগনেচার’ রয়েছে। ২ হাজার পাউন্ড ‘বম্ব’ বহনে সক্ষম এই স্টিলথ যুদ্ধবিমান।

যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড এফ-১১৭:

দ্য লকহিড এফ-১১ একটি সিঙ্গেল আসন বিশিষ্ট দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট ‘স্টিলথ’ যুদ্ধবিমান। এর নির্মাতা হচ্ছে লকহিড’স সিক্রেটিভ স্কুঙ্ক ওয়ার্ক ডিভিশন। যার অপারেটর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার ফোর্স। এটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ব্লু টেকনোলজি ডেমোনেস্ট্রেটর। বিমানটি নির্মাণে ৪২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। এই বিমান বিশ্বের যে কোনও রাডারের চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম।

চীনের দ্য চেংদু জে-২০:

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে চীন। তারা বিশ্বের যে কোনও রাডারের চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান আবিষ্কার করেছে। চীনের রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম যুদ্ধবিমানের নাম ‘দ্য চেংদু জে-২০’। এর প্রস্তুতকারক চায়না চেংদু এরোস্পেস কর্পোরেশন ফর দ্য পিপল’স লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স। ২০১১ সালে বিমানটি নির্মিত হয়। বিমানটিতে ‘স্টিলথ’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ছে। ব্যয় ১১০ মিলিয়ন ডলার।

(উইকিপিডিয়া অবলম্বনে আফজাল জাহান ইমরান)

(Visited 11 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here