রির্পোটঃঅনলাইন ডেস্ক.
সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।একই সঙ্গে তিনি দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।শুভ বড়দিন উপলক্ষে দেওয়া শনিবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, মানবজাতির মুক্তির লক্ষ্যে পৃথিবীতে মহামতি যিশুখ্রিস্টের আবির্ভাব ছিল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। তিনি ছিলেন মুক্তির দূত, আলোর দিশারী।পৃথিবীকে শান্তির আবাস ভূমিতে পরিণত করতে বহু ত্যাগ-তিতীক্ষা সহ্য করে যিশুখ্রিস্ট সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারসহ খ্রিস্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করে গেছেন।’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, যিশুখ্রিস্ট পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে মানুষের পরিত্রাণের উপায় হলো জগতের মাঝে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থান। পূর্ণ অন্তর, মন ও শক্তি দিয়ে তিনি ঈশ্বর ও সকল মানুষকে ভালোবাসতে বলেছেন।তিনি বলেন, জাগতিক সুখের পরিবর্তে যিশুখ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ সমস্যা সংকুল বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক।
‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এ সম্প্রীতি আমাদের আবহমান কাল ধরে। এখানে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। যারা হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে এই ঐতিহ্যকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে,’ বলেন রাষ্ট্রপতি।বড় দিন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ সবার জন্যে আনন্দ ও উৎসবমুখর হয়ে ওঠবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।