সোমবার , ২৬ মার্চ ২০১৮ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

অস্ট্রেলিয়ার বল টেম্পারিং নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড়

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
মার্চ ২৬, ২০১৮ ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের বল টেম্পারিংয়ের ঘটনা ঘটে এবং এনিয়ে চলছে ব্যাপক তোলপাড়। অস্ট্রেলিয়ার তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ক্যামেরন ব্যানক্রফট বল পেয়ে পকেটে হাত দেন। সেখান থেকে হলুদ রঙের একটি টেপ জাতীয় বস্তু (সিরিজ কাগজ) বের করেন। আঙ্গুলের ভাজে গুজে নেন সেটি। এরপর বলটিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে যে পাশটাতে একটু ক্ষত হয়েছে সেদিকটায় ঘষতে থাকেন।

এরপর সেই হলুদ রঙের বস্তুটি আবার পকেটে পুড়ে রাখেন। ঘটনাটি কয়েক সেকেন্ডের। কিন্তু ক্যামেরার চোখ এড়ায়নি। এরপর জায়ান্ট স্ক্রিনে বার বার ব্যানক্রফটকে দেখাতে থাকে। ব্যানক্রফট বিষয়টি লক্ষ্য করে পকেট থেকে হলুদ বস্তুটি বের করে ট্রাউজারের গিট খুলে ভেতর দিয়ে ফেলে দেন।

ঘটনার পরই ফুটেজ দেখেই টেলিভিশন আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড মাঠের দুই আম্পায়ার নাইজল লং ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থকে ব্যাপারটি জানান।মাঠের দুই আম্পায়ার তার সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু আম্পায়াররা ব্যানক্রফ্টকে ডাকলেও কোনো কিছু খুঁজে পাননি। পরে আম্পাররা বল বদলাননি বা অস্ট্রেলিয়াকে ৫ রান জরিমানাও করেননি।

কিন্তু ধীর গতির ভিডিওতে পুরো ঘটনা দেখে দর্শকদের মধ্যে কেউ কেউ দুয়ো দিতে শুরু করেন। ধারাভাষ্যকাররা বিষয়টি দেখে বিস্মিত হন। তারা অবাক হন আম্পায়াররা কেন বল পরিবর্তন না করেই খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বল টেম্পারিংয়ের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। অন্যদিকে স্টিভেন স্মিথ জানান যে ব্যানক্রফট যে এমন কিছু করবে সেটা তিনিও জানতেন। জানতো আরো সিনিয়র কয়েজন। সুতরাং দায়টা তিনিও নিয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে ব্যানক্রফট বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে আসলে আমি ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলাম। তবে এমন কাজের জন্য যথারীতি আমিই দায়ী। যা ঘটছে সেটার জন্য আমি গর্বিত নই। আমি আসলে নার্ভাস ছিলাম। কারণ, আমার চারপাশে শত শত ক্যামেরা ছিল। আমি মনে করেছিলাম টেপ ব্যবহার করে বলের কিছু কণা তুলতে পারব। সেটা করতে পারলে হয়তো ক্ষয়ে যাওয়া পিচ থেকে কিছুটা সুবিধা নিতে পারব। সে কারণেই বল টেম্পারিংয়ের চেষ্টা করেছি। ‘যদিও সেটা কাজ করেনি। সে কারণে আম্পায়াররাও বল পরিবর্তন করেননি। সেটা করার পর স্ক্রিনে যখন আমাকে দেখালো তখন আমি বেশ আতঙ্কিত হয়ে যাই। আতঙ্কের কারণেই আমি পকেট থেকে হলুদ রঙের টেপটি ট্রাউজারের ভেতর দিয়ে ফেলে দিই।’অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ দায় স্বীকার করে বলেন, ‘আসলে আমরা খারাপ একটি পন্থা অবলম্বন করেছিলাম। আমাদের কর্মের জন্য আমরা গভীরভাবে অনুতপ্ত। এখানে কোচরা জড়িত ছিলেন না। শুধু নেতৃত্বস্থানীয় খেলোয়াড়রা জড়িত ছিলেন। তবে আমি প্রতিজ্ঞা করে বলছি দ্বিতীয়বার এমনটি ঘটবে না। আর এটাই আমাদের বেলায় প্রথম। আমরা এখান থেকে সামনে এগিয়ে যাব এবং এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিব। আমি আসলে লজ্জিত। ব্যানক্রফটের জন্য খারাপ লাগছে। অস্ট্রেলিয়া দল কখনোই এমন নয়। আমি সত্যিই খুব দুঃখিত।’এই ঘটনায় অবশ্য স্মিথের পদত্যাগের প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। তবে স্মিথ পদত্যাগের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে যেহেতু ব্যানক্রফট ও স্মিথ বল টেম্পারিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন, সেহেতু জরিমানা কিংবা শাস্তিতাদের অবধারিত।

(Visited ১০ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - জাতীয়