ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মাহমুদুর রহমান

0
181

Sharing is caring!

মাথায়, ঘাড়ে, মুখে ও পিঠে একাধিক আঘাতের ক্ষত নিয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। গত রোববার কুষ্টিয়ায় আদালতে জামিন লাভের পর সরকার সমর্থকদের নিমর্ম আক্রমণের শিকার হন তিনি। আদালত প্রাঙ্গণেই পুলিশের উপস্থিতিতে তার ওপর হামলা হয়। দুর্বত্তরা ইট নিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। লাঠি-সোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ঘাড়ে, মুখে ও পিঠে রক্তাক্ত আঘাত করে। এ অবস্থায় পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তিনি যশোর বিমান বন্দর পৌঁছান এবং সেখান থেকে বিমানে ঢাকা ফিরেন। ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে প্রথমে আইসিইউতে রাখা হয়।

- Advertisement -

সোমবার বিকালে ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় তিনি ঘুমাচ্ছেন। চিকিৎসক তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে হাইপারটেনশনে ভুগছেন। একই সাথে তিনি থাইরয়েড সমস্যায়ও ভুগছেন। দুর্বৃত্তদের নির্মম আঘাতের কারণে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর আইসিইউ থেকে ক্যাবিনে স্থানান্তর করা হয়। উল্লেখ্য তিনি নিউরো সার্জন ব্রিগেয়িার জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, তাকে ইট ও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মুখ, মাথা, ঘাড় লক্ষ্য করে আঘাত করা হয়েছে। চোখের নিচেও ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আঘাতটা আসছে টের পাওয়ার পর তিনি প্রতিরোধ করেন। ফলে আঘাতটা তার চোখে না লেগে চোখের নিচে লেগেছে। নয়তো চোখটা নষ্ট হতে পারত। চোখের নিচের হাড়টা বড় হয়ে ফোলে গেছে। এখানে চারটি সেলাই দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মাথার পেছনে যেখানে আঘাত করা হয়েছে সেখানে তিনটি সেলাই লেগেছে। পিঠের আঘাতের স্থানেও দুইটি সেলাই লেগেছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রক্তনালী কেটে যাওয়ায় যথেষ্ট রক্তপাত হয়েছে আঘাতের স্থান থেকে। আঘাতটা কতটুকু গুরুতর তা বোঝা যাবে দু’দিন পর ব্যান্ডেজ খোলার পর। আঘাতের স্থানগুলোতে গতকাল থেকেই প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। সময় যতই গড়াচ্ছে ব্যথা আরো তীব্র হচ্ছে। পেইন কিলার দিয়েও ব্যথা থামানো যাচ্ছে না।

ক্ষত শুকাতে কত দিন লাগবে প্রশ্নের জবাবে একজন চিকিৎসক জানান, ‘ড্রেসিং পরিবর্তনের পরই বোঝা যাবে কত দিনে তা শুকাবে। তবে আগামী এক সপ্তাহের আগে তিনি হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন না। গত রোববার রাতেই সিটি সিটি স্ক্যানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়েছে।’

সোমবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আঘাতের স্থানটুকু ছাড়াও তার ডান চোখের চারপাশে রক্ত জমে কালো হয়ে গেছে। এতো কিছু হয়ে গেলে কিন্তু হাসপাতালের বিছানাতে ব্যথায় কাতড়ানোর পরিবর্তে তাকে বেশ ধীর-স্থির দেখা গেছে। ব্যথা সহ্য করছেন নিরবে কিন্তু কথা বলছেন একজন নির্ভীকের মতো।

তিনি বলেন, আমাকে আঘাতের পর আমি একটি গাড়ি চেয়েছিলাম। কেউ একটি গাড়ি দেয়নি। আমি গাড়ি কিনে নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলাম কিন্তু কেউ তাতেও সহযোগিতা করেনি। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আমি যশোর আসি।

(Visited 1 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here