পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের হঠাৎ মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক

0
199

Sharing is caring!

মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশব্যাপী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে হঠাৎ করে মাথা ন্যাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে। এমন এ দৃশ্য যেমন বিনোদন দিচ্ছে তেমনি করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে কৌতূহলও জাগাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

- Advertisement -

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাথা ন্যাড়া করে ফেসবুকে ছবি আপলোড করতে দেখা যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীদের। শুধু তাই নয় অন্যদেরও তারা মাথা ন্যাড়া করার জন্য উৎসাহিত করছে।

বাবা-মায়েরা বরাবরই শিশুদের প্রতি স্পষ্টভাবে যত্নশীল হন। শিশুদের পাতলা চুল ঘন হবে বলে কিছু দিন পরপরই তাদের চুল ফেলে দেন। এটা বেশ বড় বয়স পর্যন্ত চলে কারও কারও ক্ষেত্রে। যদিও বারবার ন্যাড়া করলেই যে ভালো চুল গজাবে এ কথার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আবার প্রচলিত আছে, মাথা ন্যাড়া করলে চুল পড়া কমে যায়। কিন্তু মাথা ন্যাড়া করলে অনেকে বিরূপ মন্তব্য করেন; মশকরা করতে ন্যাড়া মাথায় হাত বুলিয়ে বিরক্ত করাও অনেকের শখ। এসব কারণে ক্যাম্পাসে থাকতে অনেকে চাইলেও ন্যাড়া করতে পারেন না। তাই করোনার ছুটিতে মাথা ন্যাড়া করছেন এসব শিক্ষার্থীরা।

 

কৃষি অনুষদের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. মাইনুল ইসলাম অপু বলেন, আমরা যারা মাথা ন্যাড়া হয়েছি তারা খুব ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। তাই সবাই করোনা মোকাবেলা করার জন্য টাক হয়ে নিজের সচেতনতা জন্য নিজ নিজ ঘরে থাকবার জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টাক সোসাইটির সবাই অঙ্গীকার করেছি।

আমাদের একটি শ্লোগান হচ্ছে।
“আয় টাক ঘরে থাক
করোনা থেকে মুক্ত থাক”।

কৃষি ৫ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রাকিব ইসলাম বলেন, সেমিস্টারের চাপে চুলের তেমন যত্ন নেওয়া হয় না। এজন্য নতুন চুল উঠবে এমন প্রত্যাশা করে সবার মাঝে উৎসাহ বৃদ্ধি করে আমার মাথা ন্যাড়া করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী মাথা ন্যাড়া করেছেন। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

(Visited 2 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here