অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক ৬৯০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এই পরিমাণ লেনদেন মোবাইল ব্যাংকিং সেবার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১)প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে গিয়ে সময় ব্যয়ের বিপরীতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তুলনামূলক কম খরচে গ্রাহককে ব্যাংকিং সেবা দেওয়া সম্ভব। সরকারের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই সেবার সার্ভিস চার্জ কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে একাধিকবার সভা করেছে। ভবিষ্যতে আরও কম খরচে এই সেবা দেওয়া যাবে।
মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) এক প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, গত ১০ বছরে বিনিয়োগ বেড়ে জিডিপির ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২৮ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরে বিনিয়োগ ৫ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে হবে, যা জিডিপির ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে জাতীয় আয়ে শিল্প খাতের অবদান ৩৩ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের (বগুড়া-৪) প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক খাতের অর্থ জালিয়াতি রোধে এটিএম বুথে বাধ্যতামূলকভাবে অ্যান্টি স্কিমিং ও পিন শিল্ড ডিভাইস বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংরক্ষিত আসনের এমপি পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইসলামী ব্যাংক ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে।
ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে দেশে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ছয় মাসে আদায় হয়েছে ৭৮ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা।

















