পটুয়াখালীতে কমছে ইলিশ, বৃদ্ধি পাচ্ছে দাম

0
102

Sharing is caring!

গভীর বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে কম ধরা পরছে ইলিশ। সরেজমিন দেখা গেছে, পটুয়াখালীর মহিপুর-আলিপুরে ইলিশের ট্রলারগুলো সকাল হলেই মৎস্য বন্দরে এসে ভিড়ছে।

- Advertisement -

কিন্তু এই সময়ে জেলেরা সাগরে যে পরিমাণ ইলিশ পাবার কথা তেমন পাচ্ছে না। এছাড়াও জেলেদের জালে যে ইলিশ এখন ধরা পরছে তার বেশিরভাগ আকারে ছোট।

ফলে ইলিশের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে পাইকারী বাজারে। পটুয়াখালীর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, ইলিশের বিচরণ ক্ষেত্র পরিবর্তনের কারণে সাগরে ইলিশ কম ধরা পরছে।

মৎস আরত ঘুরে দেখা গেছে, ট্রলার থেকে ইলিশ গুলো আরতে নিয়ে আসছেন জেলেরা। পরে ইলিশগুলো বরফের স্তুপে জমা করে রাখা হচ্ছে, আবার বিক্রির জন্য ঝুড়িতে ভরা হচ্ছে।

সবাই ব্যস্ত ইলিশের দর-দাম নিয়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে তেমন ইলিশের দেখা মিলছে না।

সাগরে ইলিশ ধরা পড়ার পরিমানই যেমন কমেছে তেমনি বেড়েছে পাইকারি বাজারে এর দাম। বর্তমানে ১০০ ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ১ লাখ ৪০ হাজার।

দুই কেজির কাছাকাছি ওজনের একটি ইলিশের দাম ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। পাইকারি দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে ইলিশের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।

মহিপুর মৎস্য আরতদার ব্যবসায়ী সভাপতি ফজলু গাজী জানান, মৌসুমের সময় হলেও সমুদ্রে মাছ কম পাচ্ছে জেলেরা।

সাগরে জেলেদের জালে ধরা পরছে না ইলিশ। পর্যাপ্ত ইলিশ না পাওয়ায় খুচরা বাজারে ইলিশের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে দেখা গেছে অল্প সংখ্যক ইলিশের পাশাপাশি সাগরে ধরা পড়ছে রূপচাঁদা, লইট্যাসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ।

কিছুদিন পূর্বে গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে গোলপাতা বা পাখি মাছ, টুনা ফিসসহ বিভিন বিরল প্রজাতির মাছ।

আড়তদাররা এসকল বিরল প্রজাতির মাখি মাছ প্রতিটি ১৩ হাজার টাকায় কিনেছেন। এই মাছের কেজি প্রায় ৮০ টাকা।

এছাড়াও ইলিশের জালে কিছুদিন পূর্বে সাগরে কয়েকটি বিরল প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে যার নাম এই অঞ্চলের কেউ জানে না। মাছগুলোর একেকটির ওজন প্রায় ৪ মন।

 

(Visited 1 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here