‘মারুথা’ মধ্যরাতে মিয়ানমারে আঘাত হানতে পারে

0
514

Sharing is caring!

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’ রবিবার (১৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে মিয়ানমারের স্যান্ডোওয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত বহাল রাখতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

- Advertisement -

রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’ আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রবিবার মধ্যরাত নাগাদ স্যান্ডোওয়ের কাছ দিয়ে মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।

২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতের মানে হলো- দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না। তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথিমধ্যে বিপদে পড়তে পারে।

রবিবার সকালে ঢাকায় এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার সকাল ৬ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েকদিন ধরে চলমান তাপপ্রবাহ প্রশমিত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়াবে, এতে তাপমাত্রা আরও কমে যাবে।

রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

(Visited 2 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here