মঙ্গলবার , ৩০ মে ২০১৭ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

‘মোরা’র আঘাতে চকরিয়ায় নিহত ৩

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
মে ৩০, ২০১৭ ১১:৫৩ অপরাহ্ণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে গাছচাপায় সায়রা খাতুন (৬৫) ও রহমত উল্লাহ (৫০) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াকক্সবাজার শহরের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মরিয়ম বেগম (৫৫) নামে এক বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (৩০ মে) ভোর থেকে শুরু হয় ঘূর্ণিঘড় ‘মোরা’।

সায়রা খাতুন চকরিয়ার সিকদার পাড়া এলাকার নুরুল আলমের স্ত্রী। রহমত উল্লাহ ধোলা হাজারা এলাকার বাসিন্দা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে কক্সবাজারের চকরিয়ায় গাছচাপায় সায়রা খাতুন ও রহমত উল্লাহ নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে কক্সবাজার শহরের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মরিয়ম বেগম (৫৫) নামে এক বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত আনে। বেলা ১১টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে। তবে উপকূলীয় এলাকায় আরো ৬ ঘণ্টা মহাবিপদ সংকেত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ।

শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আরো ১২ ঘণ্টা দেশে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করবে। এর ফলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। মোরা বাংলাদেশ অতিক্রম নাও করতে পারে। এটি দেশের ভেতরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, মোরা চট্টগ্রাম উপকূলে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে, টেকনাফে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ও সেন্টমার্টিনে ১১৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় মোরা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে।

এদিকে মঙ্গলবার বলা ১২টার দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক (কক্সবাজার) হাফিজ আহাম্মেদ দ্য রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ সকালের চেয়ে এখন ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি অনেক কমে গেছে। উপকূলীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেটাই ভালো। তবে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এখনও বলবৎ রয়েছে।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক (কক্সবাজার) হাফিজ আহাম্মেদ দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে কক্সবাজারে দুইশতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে।’

 

(Visited ৪ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - জাতীয়