বৃহস্পতিবার , ১৩ জুলাই ২০১৭ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

একজন হোসনে আরার শীর্ষ ছোঁয়ার গল্প

প্রতিবেদক
Alltime BD News24 .com
জুলাই ১৩, ২০১৭ ২:৫৮ পূর্বাহ্ণ

নিজের ইচ্ছা ছিল বিজ্ঞানী হওয়ার। তবে বাবা-মা স্বপ্ন দেখতেন মেয়েকে বানাবেন চিকিৎসক। কিন্তু পড়াশোনা শেষে মেয়ে হয়ে গেলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। হোসনে আরা বেগম এনডিসি বর্তমানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সম্প্রতি সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন তিনি। বাংলাদশে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এখন গ্রেড-১ প্রতিষ্ঠান। দায়িত্ব গ্রহণের অল্প সময়ের মাথায় প্রতিষ্ঠানটিকে তিনি নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। অবশ্য শিক্ষাজীবন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন উদ্ভিদবিজ্ঞানে অন্যরকম কিছু করে দেখাবেন। সেই ইচ্ছা থেকেই গবেষণা করেছেন টিস্যু কালচার নিয়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে স্নাতকোত্তর শেষে জার্মানিতে একটি যৌথ গবষেণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন। সেসময় ভেবেছিলেন দেশে আলোড়ন তৈরি হবে তার গবেষণা নিয়ে। কিন্তু তা আর হলো না।

অনেকটা হতাশা ঘিরে ধরলো তাকে। ১৯৮৩ সালে মাত্র সাড়ে সাতশ টাকা বেতনে ফরদিপুর সদরে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে র্কমজীবন শুরু করেন। তিনি হতাশ হলেও অনেক ভাল অবস্থানে সেসময়ও ছিলেন হোসনে আরা। দেশে প্রথমবাররে মতো যে ৪০ জন নারী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ পেয়েছিলেন, তাদের একজন ছিলেন তিনি।

কর্মজীবনের প্রথম দিকে ১৯৮৭ সালে টাঙ্গাইল সদর, ১৯৮৯ সালে জামালপুর সদরে এবং ১৯৯১ সালে মুন্সীগঞ্জ সদরে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এরপর ১৯৯২ সালের জুনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে চলে আসেন ঢাকায়।

চার মাস পর বদলি হন কৃষি মন্ত্রণালয়ে। ১৯৯৬ সালের জুন পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যান নেদারল্যান্ডসে। ১৯৯৯ সালে সেখান থেকে ফিরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে উপজলো নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পদোন্নতি পেয়ে ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট থেকে ২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের এবং ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যুগ্ম-সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।

এসময় তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে এনডিসি ডিগ্রি অর্জন করেন।

হোসনে আরা বেগম ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ২৩ মার্চ অবসর উত্তর ছুটিতে চলে যান তিনি।

এরপর চলতি বছরের ৩১ মে সচিব পদমর্যাদায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে তাকে পুনরায় নিয়োগ প্রদান করা হয়। তার অধীনেই ২০১৫ সালে কারওয়ান বাজারস্থ জনতা টাওয়ারে দেশের প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

হোসনে আরা বলেন, অল্প দিনের মধ্যেই যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭টি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। একটি কোম্পানি এরইমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও এডিবির সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এডিবির দেয়া ২৫০ মিলিয়ন ডলারে আমরা  পূর্বাচলে আইসিটি অধিদফতরের এক একর জায়গায় ২০ তলা ভবন নির্মাণ করবো।

তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে নাটোরে ইনকিউবেটর কাম ট্রেনিং সেন্টার তৈরি হচ্ছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে এটি চালু হবে। সারাদশেে ১২টি আইটি পার্ক তৈরির জন্য প্রকল্প গ্রহণ করার কথাও জানান তিনি।

হাই-টেক পার্ক সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেণ, আমি চাই আগামী চার বছরের মধ্যে সারাদেশের হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, ট্রেনিং সেন্টারে আমরা যাদের গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, তাদের দেয়া ভাড়া দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি চালাতে চাই। হাই-টেক পার্ক নিয়ে আমার সব ধরনের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করে যেতে চাই।

হোসনে আরা বেগম ১৯৫৮ সালেল ২৬ মার্চ পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়ায় নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদার বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারয়িা উপজেলার দক্ষিণ বোথলা গ্রামে। তার বাবা মরহুম মোহাম্মদ আবদুল জব্বার ছিলেন চিনি কলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মা মাহমুদা বেগম ছিলেন গৃহিণী। মা-বাবার সাত সন্তানের মধ্যে হোসনে আরা বেগম দ্বিতীয়।

স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে তার সংসার। স্বামী জাহিদুল ইসলাম রিয়েল এস্টেট ও শেয়ারের ব্যবসা করেন। বড় মেয়ে হোমায়রা ইসলাম স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। ছেলে তানভীর আহমেদ অভি পড়াশোনা করছেন।

(Visited ১২ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি