বুথিডং থেকে ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশের পথে

0
378

Sharing is caring!

মিয়ানমারের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র দি নিউ লাইট অব মিয়ানমারে বলা হচ্ছে, রাখাইনের বুথিডং শহর থেকে হাজার দশেক রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশের পথে রওয়ানা হয়েছে।

- Advertisement -

মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশে সীমান্তের কাছে বিভিন্ন পয়েন্টে এসব রোহিঙ্গাদের দলবদ্ধ অবস্থায় পেয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি বলছে – ‘এসব রোহিঙ্গা সেনা কর্মকর্তাদের কাছে বলেছে, তারা তাদের গ্রামে থাকতে ভয় পাচ্ছে, কারণ তাদের অধিকাংশ স্বজন বাংলাদেশে চলে গেছে। তারা আরও বলেছে থাকা-খাওয়ার সংস্থান করতে তাদের কষ্ট হচেছ কারণ তারা কাজ করতে পারছে না।’

মিয়ানমার সরকারের তথ্য বিভাগের (মিয়ানমার ইনফরমেশন কমিটি) ফেসুবক পাতায় বেশ কটি ছবি পোষ্ট করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি খোলা জায়গায় বহু রোহিঙ্গা অপেক্ষা করছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কজন সদস্য তাদের সাথে কথা বলছে।

তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নিক পেরি আজ (মঙ্গলবার) এক টুইট বার্তায় বলেছেন, বাংলাদেশে সীমান্তের কাছাকাছি আজও আগুন দেখা গেছে। “পালানো রোহিঙ্গারা বলছেন এখনও তাদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হচেছ।

মঙ্গলবারও রাখাইনে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে
মঙ্গলবারও রাখাইনে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে

বুথিডং শহরে বাড়তি সৈন্য সমাবেশ

ওদিকে বুথিডং শহর থেকে আরো কয়েক হাজার রোহিঙ্গা যখন বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে, সেসময় ঐ শহরে মিয়ানমার বাড়তি সৈন্য সমাবেশ করছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র উদ্ধৃত করে বিবিসি বার্মিজ বিভাগ বলছে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বুথিডং এবং মঙডুতে বিদ্রোহী আরসা নতুন হামলা করতে পারে, এই আশঙ্কায় সেখানে বাড়তি সৈন্য সমাবেশ করা হচ্ছে।

উত্তর রাখাইনে মিয়ানমার পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা কর্নেল অং মিয়াট মো বিবিসি বার্মিজ বিভাগকে বলেছেন, বাংলাদেশের ভেতর থেকে তাদের সূত্রে তারা জানতে পেরেছেন আরসা জঙ্গিরা আরেকটি হামলার পরিকল্পনা করছে। “তারা মানুষজনকে এই হামলার জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, ফলে আমরা (বুথিডং এবং মঙডু শহরে) বাড়তি নিরাপত্তা নিচ্ছি।”

রাখাইনের পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করছেন , তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে এ মাসের ১০ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে আরসা রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর নতুন হামলার পরিকল্পনা করছে।

(Visited 4 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here