বাংলাদেশের সঙ্গে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ভবিষ্যৎ পেন্ডুলামের মতো দুলছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রধান কোচ। বিসিবি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবে না, নাকি বিদায় নেবেন হাথুরুসিংহে- এখন সেই অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে। এ ব্যাপারে হাথুরুসিংহে কিংবা বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য না করলেও তারা বিষয়টি প্রত্যাখ্যানও করছেন না বলে খবর ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো’র।
অর্থাৎ হাথুরুসিংহেকে দেশে ফেরাতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট যে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে, সেটার শক্ত ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেটে উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। কিন্তু হাথুরুসিংহে তার বর্তমান ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। গত বছরের অক্টোবরে পদত্যাগপত্র প্রায় জমা দিয়েই ফেলেছিলেন লঙ্কান কোচ, যদিও সেই সিদ্ধান্ত থেকে তাকে সরিয়ে আনতে সফল হয় বোর্ড।
তবে গত জুনে গ্রাহাম ফোর্ড পদত্যাগ করলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) তাদের নতুন কোচের পদ পূরণে হাথুরুসিংহের দ্বারস্থ হয়। গত তিন মাস ধরে নাকি তাকে রাজি করাতে চেষ্টা চালাচ্ছে এসএলসি। প্রথমদিকে হাথুরুসিংহে দোটানার মধ্যে ছিলেন। তবে এখন নাকি নিজ দেশের ক্রিকেটে ফিরতে রাজি হয়েছেন বলে খবর ক্রিকইনফোর। কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমটি উল্লেখ করেছে, বিসিবির মতোই বেতন তাকে দিতে প্রস্তুত শ্রীলঙ্কান বোর্ড। এছাড়া দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সহযোগী থিলান সামারাবিরাকে কয়েকদিন আগে ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এসএলসি। তাছাড়া নিজ দেশে কাজ করার মতো স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিও হয়তো আমলে নিচ্ছেন হাথুরুসিংহে।
তবে বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তির শর্তগুলোও উঠে আসছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টিতে। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন হাথুরুসিংহে। ওই শর্ত অনুযায়ী চাকরি ছাড়ার এক মাস আগে বিষয়টি বিসিবিকে জানাতে হবে তাকে। তাই এখনই তিনি বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়তে পারবেন কিনা, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।