কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটিতে ছিলেন যশোরের মেয়ে সানজিদা হক বিপাশা (৩৮), তার স্বামী রফিক জামান ও একমাত্র সন্তান ছেলে অনিরুদ্ধ। বিমান বিধ্বস্তের খবরে শোকে স্তব্ধ যশোরের উপশহর এলাকার মানুষ।
উপশহর এ ব্লকের ২৪৫ নং বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ বাবা সাবেরুল হক এখনও জানেন না মেয়ের পরিবারের করুণ পরিণতির খবর। বাড়িতে লোকের আনাগোনা দেখে তারও কৌতুহল বাড়ছে। বার বার জানতে চাইছেন কী হয়েছে!
উপশহরের সাবেরুল হকের তিন সন্তানের মধ্যে সানজিদা হক বিপাশা সবার বড়। সানজিদা হকের দুই ভাই মিথুন ও মঈন। তারাও ঢাকায় বসবাস করেন।
সানজিদা হক বিপাশা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর প্রোগ্রাম অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। স্বামী রফিক জামান একসময় সাংবাদিককতা করতেন। বর্তমানে তিনি ব্যবসা করেন। তারা স্বপরিবারে নেপালে যাচ্ছিলেন বেড়াতে।
সানজিদা হক বিপাশার চাচাতো ভাই ফজল মাহমুদ জানান, বিকাল ৪টার দিকে তারা খবর পেয়েছেন বিমান বিধ্বস্তের। এরপর ঢাকায় বসবাস করা ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বিপাশার বাবা বিছানায় শয্যাশায়ী। তাই তাকে এখনও জানানো হয়নি দুর্ঘটনার খবর।
সোমবার দুপুর তিনটার দিকে উড়োজাহাজটি নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন এয়ারপোর্টের কাছাকাছি এ দুর্ঘটনা ঘটে। উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ছেড়ে গিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নেপালে অবতরণ করার সময়েই দুর্ঘটনার শিকার হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
৭৮ জন ধারণক্ষমতার বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজটিতে ৬৭ জন আরোহী ছিল বলে জানা গেছে। ৩৭ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারী ছাড়াও উড়োজাহাজটিতে ছিল শিশু। নিহত ৫০ জন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।