যখন সারাবিশ্ব ধর্ষণের বিষয়ে সরব। অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি তাদের। তখনই সামনে এলো এক ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
ফেসবুকে লাইভ দেখানো হল গণধর্ষণ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুইডেনের উপসালার ঘটা এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে।
ইন্ডিপেন্ডেটের খবরে বলা হয়েছে, সুইডেনের উপসালার এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে একটি গ্রুপে সরাসরি এই লাইভ ভিডিওটি প্রচার করা হয়।
জোসেফাইন লুন্ডগ্রিন সুইডেনের ট্যাবলয়েড পত্রিকা এক্সপ্রেসেনকে বলেছেন, তিনি দেখেছেন ধর্ষকদের একজন ধর্ষিতা নারীর বস্ত্র টেনে ছিড়ে ফেলছে। এরপর তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ধর্ষকদের একজনের হাতে অস্ত্র ছিল।
প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী পুলিশকে বিষয়টি জানান। এরপর একটি বাড়ি থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে ১৮-২৪ বছর বয়সী তিন যুবককে আটক করে পুলিশ।
ভিডিওটি দেখেছেন এমন এক ব্যক্তি বলেছেন, আমি প্রথমে ভেবেছিলাম এটি কোনো হাসি-তামাশার ভিডিও। ভিডিওটি দেখে লোকে পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
যদিও ফেসবুক থেকে সেই ভিডিওটি এখন তুলে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে ওই দৃশ্য। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা আরও জানিয়েছে, ফেসবুকে কী আপলোড করা হচ্ছে সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াবে সংস্থাটি।
ফেসবুকের একজন মুখপাত্র ক্রিস্টিন চেন বলেন, ‘এটি একটি জঘন্য অপরাধ। ফেসবুক এ ধরনের বিষয়বস্তুকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। নিয়ম লঙ্ঘনের লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং সম্পর্কে রিপোর্ট করা মাত্রই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
