সোমবার , ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

বরিশাল শেবাচিমে নার্সকে পেটানোর হুমকি দিলেন ডাক্তার : অতঃপর

প্রতিবেদক
Alltime BD News24 .com
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯ ১১:০৭ অপরাহ্ণ

ডাক্তার কর্তৃক নার্সকে পেটানোর হুমকি দেয়ার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নার্সরা একত্রিত হয়ে পরিচালকের কক্ষে অবস্থান নেয়ায় বিভিন্ন আন্তঃওয়ার্ডে রোগীর সেবা ব্যাহত হয়। পরে পরিচালক উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সমস্যার সমাধান করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং নার্সরা কাজে ফিরে যান।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, জরায়ুর সমস্যা নিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি শের-ই বাংলা মেডিকেল ভর্তি হন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট সিংহের হাট এলাকার বৃদ্ধা আলো রানী (৬০)। গত ২৩ জানুয়ারি হাসপাতালের গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসরিন সুলতানার নেতৃত্বে ওই রোগীর জরায়ু অপারেশন হয়।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অপারেশনের পর চিকিৎসকরা দুটি গজের একটি জরায়ুর ভেতরে রেখে সেলাই দিয়ে দেয়। এতে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাচ্ছিলো। প্রতিদিন ৪/৫টি নাপা সাপোজিটারি দিয়ে তার শরীরের তাপমাত্রা কমানো হচ্ছিলো। ওই রোগীর স্বজন হাসপাতালের নার্স সঞ্চিতা রানী বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিস্ট বিভাগের চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসরিন সুলতানার সাথে কথা বলেন। দিন দিন রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতির বিষয়ে করণীয় বিষয়ে চিকিৎসকের কাছে জানতে চান তিনি।

এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে ডা. নাসরিন সুলতানা নার্স সঞ্চিতা রানীকে আপাদামস্তক পেটানোর কথা বলেন। একই সাথে নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা কে দিয়েছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নার্সরা বিক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালের পরিচালকের দফতরে গিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। তারা ওই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

পরে পরিচালক সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের ডেকে ওই ঘটনার ব্যাখ্যা চান এবং উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ সমঝোতা বৈঠকে উভয় পক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেন।

বৈঠক থেকে বের হয়ে নার্স নেতারা জানান, এটা তাদের পরিবারের মধ্যের ঘটনা। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। তারা নিজেরা সমঝোতা করেছেন।

গাইনি বিভাগের চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসরিন সুলতানা বলেন, ওই নার্স গাইনি ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত নয়। তিনি অযাচিতভাবে তার কাছে কৈফিয়ত চাইছিলো। তার শারীরিক ভাবভঙ্গিও ভালো ছিল না। এ নিয়ে একটু বাদানুবাদ হয়েছিলো।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকীর হোসেন জানান, ডাক্তার এবং নার্সের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। উভয় পক্ষকে নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

(Visited ১ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত