বরিশালে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল তিন কিশোরী

0
163

Sharing is caring!

শামীম আহমেদ ॥ তিন কিশোরীর অমতে পরিবারের স্বজনরা একপ্রকার জোরকরেই বাল্যবিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছিলো । উভয় কিশোরীর বাড়ির সামনে নির্মান করা হয়েছিলো সু-বিশাল বিয়ের গেট। ভেতরে অতিথি আপ্যায়নের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। বাকি ছিলো কেবল বর যাত্রীর আশার অপেক্ষা।
এমনই সময় উভয় কিশোরীর বাড়িতে বরযাত্রীর পরিবর্তে পুলিশ নিয়ে হাজির হয়েছেন চৌকস উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে পন্ড হয়ে যায় উভয় কিশোরীর বাল্যবিয়ের সব আয়োজন। ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে তিন কিশোরী। একটি ঘটনা ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের জঙ্গলপট্টি, অপরদুটি ঘটনা ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে শংকরপাশা এবং অপরটি ওইদিন দুপুরে একই উপজেলার বড়দুলালী গ্রামে।

- Advertisement -

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাহিলাড়া ইউনিয়নের জঙ্গলপট্টি পীর বাদশা মিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে সদ্য দাখিল পরীক্ষা দেয়া ছাত্রী ও জঙ্গলপট্টি গ্রামের শহিদ বেপারীর কন্যা মরিয়ম আক্তারের (১৬) বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়ের দিন ধার্য ছিলো। সেমতে কনের বাড়ির সামনে সু-বিশাল বিয়ের গেট, প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা, অতিথি আপ্যায়নের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিলো। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ছাত্রীর মা-বাবাকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে সচেতন করেন। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর মা তাদের কন্যা মরিয়মকে ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে দিবেনা মর্মে লিখিত মুচলেকা দিয়ে বিয়েরপুরো অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।
অপরদিকে নলচিড়া ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের মনরঞ্জন ঢালী তার কন্যা প্রতিরানী ঢালী পুজার (১৫) অমতে হিন্দুরিতী অনুযায়ী বুধবার রাতে বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন। কনের বাড়ির লোকজনে শুধুমাত্র বরযাত্রীদের আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন।

এমনই সময় রাত নয়টার দিকে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের কনের বাড়িতে থানা পুলিশ নিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন। তিনি বাল্যবিয়ের সকল আয়োজন পন্ড করে দিয়ে কিশোরীর বাবাকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে নগদ তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। একইসাথে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত কনের বাবা ও তার স্বজনদের কাছ থেকে মুচলেকা রাখেন।

একইদিন দুপুরে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বড়দুলালী গ্রামের অলিল খন্দকারের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন হাজির হয়ে তার কন্যা সুমি আক্তারের (১৬) বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।

(Visited 1 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here