শনিবার , ৩০ মার্চ ২০১৯ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

বৈশাখী উপলক্ষে সরগরম হয়ে উঠেছে বরিশালের ইলিশের বাজার

প্রতিবেদক
Alltime BD News24 .com
মার্চ ৩০, ২০১৯ ৯:০৩ অপরাহ্ণ

আর কদিন বাদেই উদযাপিত হবে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বৈশাখের প্রথম দিনটি উদযাপন উপলক্ষে আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ঠিক তেমনি বৈশাখের এক অনুষঙ্গ অঙ্গ হচ্ছে ইলিশ। অনেকের কাছে পান্তা-ইলিশ না খেলে নববর্ষের এই আনন্দ যেন অনেকটাই ফিকে হয়ে যায়। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যেই বরিশালের বাজার গুলোতে ইলিশের সরগরম শুরু হয়ে গেছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) বরিশালের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এ দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় বাজারে ক্রেতা সমাগম বেশি। দোকানিরা বাজারগুলোতে ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বিক্রেতারাও নানাভাবে ক্রেতাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন।

পোর্ট রোড বাজারে খোঁজ নিয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে ইলিশের উপস্থিতি ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে। বিক্রেতারা ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম চাচ্ছেন এক হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার টাকা। অথচ কিছুদিন আগেও এই ওজনের ইলিশ এক হাজার থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর নদীর ৯০০ থেকে ১ কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা। আর ৮০০ গ্রামের প্রতি কেজি ইলিশ এক হাজার ৬০০ টাকা এবং ৭০০ গ্রামের প্রতি কেজি এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এ দিকে বাজারে কিছু বড় ইলিশও দেখা গেছে যার ওজন এক কেজি ১০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ২০০ গ্রাম। তবে এর দামও বেশ হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি ইলিশ দুই হাজার ৮০০ থেকে তিন হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। আর দেড় কেজি বা দুই কেজির কাছাকাছি ওজনের ইলিশের প্রতি কেজির দাম চাওয়া হচ্ছে সাড়ে চার হাজার টাকায়। তবে ৫০০ গ্রামের নিচে এক হালি ইলিশের দাম দুই হাজার টাকা। তবে তুলনামূলকভাবে কম দামে বার্মিজ ও সাগরের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে আরও দেখা গেছে, ‘তাজা’ বলে যেসব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তার বেশিরভাগই কয়েক মাস আগে মজুদ করা হিমায়িত ইলিশ। বাড়তি লাভের আশায় পয়লা বৈশাখের দুই সপ্তাহ আগে থেকে সেগুলো বাজারে ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি বাজারে আমদানি করা মিয়ানমারের ইলিশও প্রচুর বিক্রি হচ্ছে।

ইলিশ বিক্রেতারা বলেন, বৈশাখ এলে ইলিশের চাহিদা বাড়ে। তবে সরকার মার্চ ও এপ্রিল এ দুই মাস জাটকা ধরা নিষেধ করায় জেলেরা নদীতে শুধু বড় মাছ ধরতে জাল ফেলছে। কিন্তু বৈশাখী বাজার ধরার জন্য তারা আপাতত ইলিশ মজুদ করে রাখছে। এছাড়া বাজারে এখন বার্মিজ ও সাগরের ইলিশে ভরা। নদীর ইলিশের তুলনায় এই ইলিশে স্বাদ ও গন্ধ কম হওয়ায় এদের চাহিদা কম।

তবে বৈশাখের আগে নদীর ইলিশ আসলেও তার দাম আকাশচুম্বী থাকবে বলে ইলিশ বিক্রেতারা জানান। এছাড়া বাজারে ইলিশের ক্রেতাও অনেক কম। কেননা ক্রেতারাও এখন আগে থেকেই ইলিশ সংরক্ষণ করে রাখে।

বিক্রেতারা জানান, ৩শ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি করছেন ৪০০ টাকা। আর ৫শ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস বিক্রি করছেন ৬শ টাকায়।

বাজারে ইলিশ কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, যদিও বাঙালির নববর্ষের সঙ্গে ইলিশের কোনো যোগসূত্র নেই, তবুও পরিবারের অনুরোধে এটি কিনতে এসেছি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা উপলক্ষ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ তার। তিনি বলেন, এক শ্রেণির পাইকারি ও খুচরা মাছ ব্যবসায়ী ইলিশের চাহিদাকে পুঁজি করে ফায়দা লুটছেন। তাই ইলিশের দাম চড়া।

অন্য আরেক ক্রেতা জানিয়েছেন, বৈশাখের আগে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যাবে। তাই আগেভাগেই বাজারে ইলিশ কিনতে আসলাম। তবে এখনই বিক্রেতারা দাম অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছেন। দর কষাকষির পর ৮ শ টাকা দিয়ে একটি কিনেছি। বিক্রেতা ওজন বলছে ৭শ গ্রাম। এখন জানি না আসলে কতটুকু হবে। শুধু একটাই আশা, মাছটা যেন বার্মিজ না হয়ে দেশি ইলিশ হয়।

প্রসঙ্গত, বরিশালে তিন ধাপ পেরিয়ে ইলিশ মূলত ক্রেতার হাতে পৌঁছে। প্রথম পর্যায়ে ইলিশ মালিকদের কাছ থেকে আড়তে আসে। দ্বিতীয় ধাপে, আড়ত থেকে পাইকাররা মাছ কিনে নেয়। আর শেষ ধাপে খুচরা বাজারে মাছ বিক্রি হয়।

(Visited ১৩ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - জাতীয়