মঙ্গলবার , ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষমা করবে না : জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
Alltime BD News24 .com
ডিসেম্বর ৩, ২০১৯ ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা মানবজাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের এ ব্যাপারে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যদি একটা নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হই তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।

সোমবার স্থানীয় সময় সকালে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ‘অ্যাকশন ফর সারভাইভাল: ভালনারেইবল নেশন্স কপ-২৫ লিডার্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সিভিএফ এবং ভি -২০ দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিমুখী সহযোগিতার অসাধারণ উদাহরণ এবং আমরা বর্তমান সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।

আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে শিশুরা আমাদের ক্ষমা করবে না। বিশ্ব নেতাদের প্রতি মুহূর্তের নিষ্ক্রিয়তা পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের জীবিত মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কাজ করার এখনই সময়।

সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনকে বিশ্বের এক নির্মম বাস্তবতা অভিহিত করে বলেন, এটি এখন মানবজীবন ও পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আছি আমরা, সম্ভবত আমাদের সময়টা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ সময়।

জলবায়ুর পরিবর্তন প্রতিটি দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবে আক্রান্ত দেশগুলোর অস্তিত্বের ওপর হুমকি তাই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অভিবাসী সংকট মোকাবিলায় একটি যথাযথ কাঠামো তৈরি করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার্যকর অভিযোজন কৌশল অনুযায়ী অভিবাসীদের মাইগ্রেশন হলে আমরা অবশ্যই এর প্রশংসা করবো। আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর অভিযোজন ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের স্থানান্তর ও সুরক্ষা নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে মনোযোগ দেয়া দরকার।

জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রয়োজনে একটি উপযুক্ত কাঠামো তৈরি নিয়ে আলোচনা শুরু করা দরকার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটা সর্বজনস্বীকৃত যে জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুতর প্রভাব মানব অভিবাসনের ওপর পড়ছে। সহিংস সংঘাতের চেয়েও চরম আবহাওয়ার বেশি মানুষকে স্থানচ্যুত করছে।

ধীরে ধীরে সমুদ্র-স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি ও মরুকরণের মতো ঘটনার দিকে বিশ্বের মনোযোগ কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ভারসাম্যহীনতা সংশোধনে আমাদের অবশ্যই একত্রে কাজ করতে হবে।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে আছি যেখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের দাবি রাখে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তারা তা পাচ্ছে না।

সিভিএফ এবং ভি-২০ দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিভুজাকারী সহযোগিতার দুর্দান্ত উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বর্তমান অর্জনগুলোকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্য পরিবেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ ধ্বংসের সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি, প্রভাব ও মোকাবিলার সক্ষমতা অভাবের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়ার ক্ষেত্রে একটা মানদণ্ড ঠিক করার দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রধান দূষণ বা কার্বন নির্গমনকারীরা দূষণ কমাতে চরম অনিহা দেখাচ্ছে যা আন্তর্জাতিক জলবায়ু শাসনব্যবস্থা ধ্বংস ও বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আরও বিপদের ঝুঁকিতে ফেলবে। সুতরাং, নিষ্ক্রিয়তার জবাবদিহিতা চেয়ে আমাদের দ্বিধা করা উচিত নয়।

২০২০ সালে নেদারল্যান্ডসে ‘ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশসন সামিটে’ অভিযোজন প্রচেষ্টা আরও শক্তিশালী হবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সদস্য দেশগুলো সম্মত হলে বাংলাদেশ জলবায়ু ভালনারেবল ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ধ্বংসযজ্ঞে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দায় খুবই নগণ্য বা কোনো অবদানই নেই। এটি গুরুতর অন্যায় একথা বিশ্ব সম্প্রদায়কে স্বীকার করতে হবে।

ইউএনএফসিসিসির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ইউএনএফসিসিসি (ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ) খুবই ধীর ও অত্যন্ত অপ্রতুল। আমাদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো অভিযোজনের সহায়তায় কদাচিতই উদ্যোগ নেয়া হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের ২৫তম বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে রোববার স্পেন পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

(Visited ৩ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত

বরিশালে মাদক মামলায় মহানগর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির মোল্লা জেলহাজতে

বরিশাল উজিরপুরে এ্যাসিলান্ডের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলেন কিশোরী

বরিশালে স্কাউটস এর জেলা সাংগঠনিক ওয়ার্কশপ, ডিপিইও, ইউইও এবং স্কাউট কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

বরিশালে অর্ধশত প্রতিবন্ধীকে হুইলচেয়ার দিলেন পুলিশ সদস্য জীবন মাহমুদ

করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

দেশে-বিদেশে ইসলাম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন আল্লামা শফী-রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

ধামরাইয়ে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অমৃতা

অবান্তর প্রশ্ন………………..আর.এম।

কক্সবাজারের ৩৪ পুলিশ পরিদর্শককে একযোগে বদলি