রহিমা-ফাতেমা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইমপেক্স মটরর্সের সৌজন্যে কর্মহীনদের মাঝে ত্রাণ বিতরন।

0
201

Sharing is caring!

স্টাফ রিপোর্টার :সারা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস আতংকে কুপোকাত। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বিশ্বের ২০৩ টি অঞ্চলে এখন পর্যন্ত সাড়ে 11 লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।এদের মধ্যে মারা গেছেন,৫০ হাজারের বেশি।এছাড়া সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ২ লাখের বেশিমানুষ। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে মানুষ।তারই পাশাপাশি বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে এই ভাইরাসটি।পর্যায়ক্রমে এর সংক্রমন বেড়েই চলছে। ঘরবন্দী হয়ে পড়ছে দেশের সকল কর্মজীবী মানুষ।তারই অংশ হিসেবে বরিশালে প্রায় ৩০০ টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন রহিমা ফাতেমা ফাউনন্ডেশন।আজ ৪ এপ্রিল নগরীর সিএন্ডবি ১ নং পুল সংলগ্ন ইমপেক্স মটরসাইকে শো-রুমে অসহায়,দুস্থ ও কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়।
খাদ্য সামগ্রী পর্যায়ভেদে ৩০০ টি পরিবারের হাতে তুলে দেন রহিমা-ফাতেমা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়্যারম্যান মালিহা ইসলাম মৌ ও ভাইস চেয়্যারম্যান শহিদুল ইসলাম শহিদ, সহ অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ কমিশনার নাসিরউদ্দিন মল্লিক,বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার,রাসেল উদ্দিন, ওসি নুরুল ইসলাম,পুলিশ সদস্য এস,আই মামুন,শহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য পুলিশ বৃন্দ ও সমাজসেবক আলহাজ্ব নুরুল আলম মল্লিক সহ নেতৃবৃন্দ। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা রহিমা-ফাতেমা ফাউন্ডেশনের এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছে এবং সমাজের সকল বিওবানদের এই সমাজসেবামুলক কাজে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে। এ ব্যাপারে রহিমা ফাতেমা ফাউন্ডেশন এর আজীবন উপদেষ্টা কর্নেল সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের চলমান করোনাভাইরাসে সংকট নিরসনে লক্ষে , দুস্থ, গরীব মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করি।পাশাপাশি পরিবহন চলাচল না করায় এবং বর্মমান অবস্থার পরিপেক্ষিতে উপস্থিত না থাকতে পেরে আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি মনে করি, দেশের সকল অসহায় মানুষের এই সংকটের  সময়, যে যার অবস্থান থেকে পাশে দাঁড়াবেন।
কারন মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে।প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়্যারম্যান শহিদুল ইসলাম শহিদ  জানায়, আমরা অসহায়, দুস্থ মানুষের পাশাপাশি কিছু মধ্যবিও মানুষদের জন্য খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি।যারা লোক লজ্জার ভয়ে কিছু বলতে পারেনা। তাদের হাতে আমাদের এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে খাবার বিতরন করা হয়েছে।আমাদের এ ধরনের নৈতিক কাজ চলমান থাকবে।এছাড়া জানা যায়,রহিমা-ফাতেমা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে, উজিরপুর থানার মুলপাইন ,হস্তিসুন্ড, আটিপাড়া,মুন্ডুপাশা ,কাজিরা ও গুঠিয়া এলাকায় ৩০০ টি অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরন করা হবে।রহিমা-ফাতেমা ফাউন্ডেশনের এরকম উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল।উল্লেখ্য তাদের খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল,৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি আটা, ১ কেজি পিয়াজ, ২ কেজি আলু, ১ প্যকেট চানাচুর, ১ প্যাকেট বিস্কুট, ও মুড়ি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস।
রহিমা-ফাতেমা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা মালিহা ইসলাম মৌ বলেন,অনেক দিন এর কঠোর পরিশ্রম ও সবার সহযোগিতার ফলে, আজ আমরা সাধারণ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে পেরেছি ।আমার মন আজ প্রফুল্ল ।রানার আটোমোবাইস কতৃপক্ষের তদারকি এবং মানুষিক ভাবে যে সাহস যুগিয়েছে তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাই কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রশাসনের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি, সংবাদকর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি যখন প্রতি মাসে ১,০০০ লোকের মুখে আহার তুলে দিতে পারবো। আমি মনে করবো সেই দিন আমাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছি।
(Visited 6 times, 1 visits today)
- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here