ভারতে পালিয়ে থাকা শরণার্থীরা এখন এদেশে বড় মুক্তিযোদ্ধা-বরিশালে বিএনপির সমাবেশে বক্তারা

0
146

Sharing is caring!

শামীম আহমেদ ॥ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে একদফা আন্দোলনে যেতে বিএনপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

- Advertisement -

সমাবেশে বক্তারা বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করতে হবে। এজন্য বিএনপিকে একদফার আন্দোলন নিয়ে রাজপথে নামতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল জিলা স্কুলমাঠে বরিশাল মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এই আহ্বান জানান।

দেশব্যাপী নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে গত সিটি কর্পোরেশন ভোটে দলের মনোনীত মেয়রপ্রার্থীদের নেতৃত্বে বরিশাল মহানগর বিএনপির এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে বরিশাল মহানগরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

তারা সমাবেশে দিকে যাওয়া প্রতিটি গাড়িও তল্লাশি করে। সমাবেশের শুরুতে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

পরে বিকেল ৩টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্যেদিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

সমাবেশে তরুণ ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্লোগান দেয়ার জন্য এখানে আসবেন না। স্লোগান দেয়ার জন্য রাজপথ।

স্লোগান দিয়ে আমাদের মিটিং নষ্ট করবেন না। আর যদি প্রতিরোধ করতে হয় তাহলে রাজপথে গিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীকে প্রতিরোধ করুন।

আগুন জ্বালাতে হলে শেখ হাসিনার গদিতে আগুন জ্বালান। আমাদের মঞ্চে আগুন জ্বালাবেন না। মঞ্চে আগুন জ্বালানোর কোনো প্রয়োজন নাই।

মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতীয় বাহিনী না আসলেও আমরা এই দেশকে স্বাধীন করতে পারতাম।

প্রতিবেশী রাষ্ট্র যখন দেখেছে বিজয় নিশ্চিত, মুক্তিবাহিনী বিজয়ের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছে- তখন তারা কৃতিত্ব নেয়ার জন্য শেষ দিকে এসে যোগদান করেছে। তাদেরকে ছাড়াও আমরা এই দেশকে স্বাধীন করতে পারতাম।

তিনি আরো ২৫ই মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীর হামলার পরের দিন যারা দুইদিন আগেও পল্টন থেকে শুরু করে বিভিন্নস্থানে বড় বড় গলাবাজি করেছেন তাদের আর দেখা যায়নি।

 

জাতী যখন হতাশ তখনই জিয়াউর রহমান কালোরঘাট স্টেশন থেকে স্বাধীনতা ঘোষনা দিয়ে এদেশের ছাত্র-জনতাকে মুক্তিযুদ্ধের এক কাতারে নিয়ে এসেছিলেন।

 

আর যারা ষড়নার্থী হয়ে খেয়ে ধেয়ে এদেশে ফিরে এসে হয়ে গেলেন বড় বড় মুক্তিযোদ্ধ্ াসেদিন কারা মুক্তিযোদ্ধা কারা করেছিলেন আমরা সেনা বাহিনী সদস্যরা জানি।

 

মেজর জিয়া ভারতে পালিয়ে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেনি তিনি সরাসরি এদেশের রনাঙ্গনে পাক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ পরিচালনা করা সহ তিনি নিজেও যুদ্ধ করেছিলেন।

 

মেজর হাফিজ উদ্দিন আরো বলেন, শেখ হাসিনার শাষন সামরিক বাহিনীর চেয়েও খারাপ। তাই এই সরকার দেওলিয়ার কাছে এসে দাড়িয়েছে।

 

শেখ হাসিনার সরকার পৃথিবীর একটি নিঃকৃষ্ট সরকার। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারি নাই। আমি প্রার্থী আমাকে ভোটের দিন পুলিশ ধরতে আসে যা পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক স্প্রীড বোর্ড দিয়ে সরিয়ে দেয়।

 

এই হল একটি স্বাধীন বাংলাদেশের শেখ হাসিনা ভোট। তাই আমাদের অনির্বাচিত ভোট ডাকাত সরকারের কাছ থেকে আমাদের অবসান হওয়ার জন্য সকলকে মাঠে নামার আহবান জানান।

 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, আজকে আমরা সমাবেশ করছি, একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। এই সমাবেশ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাই।

এই সরকারের অধিনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আজ বরিশাল থেকেই আমরা এই আন্দোলন শুরু করলাম। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, আন্দোলনের জন্য আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। আর জনগণের দাবিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।

আর আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই ছাড়বো। সভাপতির বক্তব্যে মুজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, পুলিশ আমাদের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে।

অনুমতি দিয়েই গতকাল রাত থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। তাই গণতন্ত্র না থাকলে কোনো কিছুই হয় না।

আর দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই শেখ হাসিনা দুর্নীতিমুক্ত করতে পারছেন না। বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন খান বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করতে হবে।

এজন্য বিএনপিকে এক দফার আন্দোলন নিয়ে রাজপথে নামতে হবে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সমাবেশের স্থান বরিশাল জিলা স্কুলে প্রবেশের পথ দুটি।

এই দুই স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা গড়ে তোলেন। স্কুলমাঠে প্রবেশের সময় সবাইকে তল্লাশিও করে তারা।

রাখেন কঠোর নজরদারিতে। এদিকে দুপুর ১টা থেকে বরিশাল মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসহ ঢাকা এবং আশপাশের জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন।

তারা হাতে দলীয় পতাকা, মাথায় ব্যাজ এবং ব্যানার নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. মুজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন,

খুলনা মহানগর সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু, চট্রগ্রাম মহানগর সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, রাজশাহী মহানগর সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল,

বিএনপি নেতা আবুল হোসেন খান, ওবায়দুল আকরাম, আলমগীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।

 

অপরদিকে দলীয় ভাবে অভিযোগ করেন বলেন, তাদের সমাবেশে আসার নগরীর বিভিন্নস্থানে সরকার দলীয় নেতা কর্মীরা আইন শৃ্খংলা বাহিনী সহায়তা তাদের মারধর ও ব্যানার কেড়ে নিয়ে যায়

(Visited 1 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here