সাংবাদিক রফিককে ফাঁসাতে চক্রান্তের অংশ হিসাবে সাজানো হয় নাটক!

0
173

Sharing is caring!

খাদ্য ঠিকাদার কর্তৃক ময়মনসিংহ মেডিকল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের নিন্মমাণের খাবার , ওজনে কম, পঁচা- বাঁশি খাবার পরিবেশনের অভিযোগে ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকায় ২০১৬ সালে, ২০১৭ সালে এবং ২০১৮ সালে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করা হয় ।

- Advertisement -

এছাড়াও হাসপাতালে ৮ শ’ কোটি টাকার দুর্নীতি অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি । সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার হাশেম আলী এসব অনিয়মের হোতা । হাশেম আলী এক সময় এই হাসপাতালের বাবুর্চি ছিল । এখন শত কোটি টাকার মালিক , আছে আলিশান বাড়ি ও গাড়ি।

ময়মনসিংহ প্রতিদিনে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের জেড় ধরে পত্রিকার সম্পাদক খায়রুল আলম রফিককে ফাঁসাতে চক্রান্তের অংশ হিসাবে সাজানো হয় নাটক।

হাসপাতালের রান্নাঘর ভাংচুর, অনধিকার প্রবেশ ইত্যাদি মনগড়া অভিযোগ এনে সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের বিরুদ্ধে ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনের নামে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্রুত বিচার আইনে হাশেম আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে ।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন পিবিআইকে । পিবিআইয়ের মামলাটি তদন্ত করেন, এসআই আবু সালেক।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, হাসপাতালে ভাংচুরের মত কোন ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি । হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা পর্যালোচনা করেও কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি ।

বাদী হাশেম আলীও উপস্থাপন করতে পারেনি কোন আলামত । ৭ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ৩ জনের ঠিকানা হুদিস পাওয়া যায়নি । ৩ বছর মামলা চলমান থাকার পর সম্প্রতি আদালতের বিচারক খায়রুল আলম রফিককে ২ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন ।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ পুন:বিবেচনার দাবী জানান । খায়রুল আলম রফিক একদিকে আইসিটি আইনের মামলায় বিপর্যস্ত ।

এরই মাঝে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় সারাদেশের সাংবাদিকদের মাঝে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে । সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে সাংবাদিক রফিকের প্রতি ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করা হয়েছে ।

সাংবাদিক নেতা আবুল কালাম আজাদ জানান, সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক একজন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও মেধাবী সাংবাদিক । তিনি সারাদেশে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের সংবাদ নির্ভয়ে প্রকাশ করে যাচ্ছেন ।

যথেষ্ট সুনাম ও খ্যাতি রয়েছে তার । তার পরিবেশিত সংবাদ সরকারের কাছে সহায়ক হিসাবে উপস্থাপিত হয়েছে । বনেকের প্রচার সম্পাদক নাহিদুর রহমান বিদুৎ জানান, আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিসাবে সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক ২ বছর ধরে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ।

তার নেতৃত্বে সারাদেশের সাংবাদিকরা আজ অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন । দেশেও কোথাও সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার ও অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তিনি ছুটে যান সেখানে । এসব করতে গিয়ে এখন তিনি নিজেই আর্থিকভাবে অসহায় হয়ে পড়েছেন ।

মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি বিপর্যস্ত । বর্তমানে তিনি দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন ।

দৈনিক আমাদের কন্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মিয়াজী সেলিম আহমেদ জানান, যেহেতু নিন্ম আদালত তাকে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন সেহেতু বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে আমরা আপিল করবো ।

আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো । বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আসাদ বলেন, এর আগেও সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিককে আইসটি আইনে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ আটক করে ।

একটি মহলের ইন্ধনে পুলিশ তাকে অমানুষিক নির্যাতন চালায় । ২ মাস কারাগারে থাকার পর উচ্চ আদালতের মাধ্যমে পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন । নির্যাতনের কারনে তিনি আজ পঙ্গু । পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন । এঘটনায় তিনি তার পরিবার আজ অসহায় হয়ে পড়েছে ।

সাংবাদিক রফিকের স্ত্রী ইয়াসমিন খায়রুল জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ । ঠিকাদার হাশেম আলী ইতিপূর্বেও তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে । এরপর মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা দায়ের করে । প্রভাবশালী এই ঠিকাদার প্রচার করছে কারাগারের ভেতর তাকে হত্যা করবে ।

আরও অনেক মামলা দায়ের করবে । মানবাধিকার কর্মী ইসরাত জাহান জানান, সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে । সরকারের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন । কারন আইসিটি আইনের মামলায় তিনি দীর্ঘদিন কারাবরণ করার পর আবারও দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে । আমরাও তার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি । শিঘ্রই সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবো ।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মহাসচিব নূর খান জানান, অত্যন্ত দু:খ জনক । এই অসহায় সাংবাদিকের পাশে সকল নাগরিক সমাজের দাঁড়ানো প্রয়োজন । সরকার তাকে নি:স্বর্ত মুক্তি দেবে এমনটাই আশা করি । আর্থিকভাবেও তিনি আজ মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ । মামলা পরিচালনা করার মত অর্থও তার কাছে নেই । তারপর অসুস্থতা ।

(Visited 3 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here