এবিইউ সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী জলবায়ু মোকাবিলায় বাংলাদেশ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে

0
322

Sharing is caring!

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ভূমিকা নগণ্য হলেও বাংলাদেশ এ কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরির্তনের ফলে যে ক্ষতি হয় তা পূরণ করা সহজ কাজ নয়। কিন্তু বাংলাদেশ তা করতে সক্ষম হচ্ছে।

- Advertisement -

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয় তিন দিনব্যাপী তৃতীয় ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্ষতির ঝুঁকি হ্রাস’ শীর্ষক এবিইউ (এশিয়া-প্যাসিফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন) মিডিয়া সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য সচিব মুর্তজা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, এবিইউয়ের মহাসচিব জাবেদ মোত্তাকি, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হারুনুর রশীদ বক্তব্য দেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। ১৯৭০ সালে ভয়াবহ সাইক্লোন হয়েছে। এতে অনেক লোকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এরপর আরও অনেক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা এসব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, এটি আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সামর্থ্য বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন মুহিত।

হাসানুল হক ইনু বলেন, দরিদ্রতা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশগত যে সমস্যা তৈরি হচ্ছে সেটি মোকাবিলা করাও এখন বিশ্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি শুধু বাংলাদেশ বা এ অঞ্চলের সমস্যা নয়, এটি এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্লাইমেট রিফিউজির সংখ্যা বাড়ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল গ্রহণ করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশের হাওরাঞ্চলে যে দুর্যোগ দেখা দিয়েছে সেটি গণমাধ্যম বেশ ভালোভাবে তুলে ধরতে পেরেছে। এর ফলে পুনর্বাসন ব্যবস্থাসহ সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যুতে এআইবির প্রথম সামিট অনুষ্ঠিত হয় ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায়। দ্বিতীয় সামিট অনুষ্ঠিত হয় থাইল্যান্ডে। এবার তৃতীয় সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকায়।

তিন দিনের এ সামিটে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি এনজিও, গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। প্রথম দুই দিনে জলবাযু পরিবর্তন ইস্যুতে ৪টি করে মোট ৮টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।

দ্বিতীয় দিন শেষে ‘ঢাকা ডিক্লারেশন’ দেওয়া হবে। সামিটের তৃতীয় দিনে ঢাকা থেকে ষাটনল পর্যন্ত দিনব্যাপী নৌবিহার অনুষ্ঠিত হবে।

 

(Visited 2 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here