এবার দোহা-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ থেকে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে পাঁচটি এয়ারলাইন্স। সাউদিয়া, এয়ার এরাবিয়া, এমিরেটস, ইতিহাদ ও ফ্লাই দুবাইয়ের দোহাগামী সব ফ্লাইট বন্ধ আছে। কাতারগামী বাংলাদেশি যাত্রীরা এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। এতে করে কার্গো ও যাত্রী পরিবহন থেকে বিমান বন্দরের আয় কমে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে এভিয়েশন এক্সপার্ট ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী ইমরান আসিফ জাগো নিউজকে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা অল্প সময় থাকলে হয়তো কাতার তেমন ক্ষতিগ্রস্থ হবে না, তবে দীর্ঘমেয়াদি হলে কাতার অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তবে এই এই নিষেধাজ্ঞা বেশি দিন থাকবে না বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের এয়ারলাইন্সের জন্য সাময়িক সুবিধা হয়েছে।
আটটি দেশ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর দোহা-ঢাকা রুটে পাঁচটি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট বন্ধ করেছে। এর আগে সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। সর্বশেষ সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে জর্ডান।
সৌদি আরব কাতারের সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়ার পর দেশটিকে অনুসরণ করে একই পদক্ষেপ নিয়েছে মিসর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া ও ইয়েমেন। এই ছয় দেশের এয়ারলাইন্সগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে কাতারগামী সব ফ্লাইট। এছাড়া কাতারকে স্থল ও সমুদ্রবন্দরও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রতিবেশি দেশগুলো। এতে করে কার্যত একঘরে হয়ে পড়েছে কাতার।
বাংলাদেশ থেকে যাত্রী পরিবহন করে মোট ৮টি এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে বন্ধ আছে পাঁচটির ফ্লাইট। এসব এয়ারলাইন্সের টিকেট কিনে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
তবে এই ইস্যুতে সৃষ্ট বাড়তি চাপ কাতারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের চলাচলের পথে অনেকটা বাধা সৃষ্টি করতে পারে। কাতারের সংকটে বাংলাদেশি প্রবাসীরা বেশি ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সেইসঙ্গে সাময়িকভাবে রাজস্ব হারাতে পারে সরকারও।
পাঁচটি এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট বাতিল করলেও কাতার এয়ারওয়েজ, বিমান বাংলাদেশ ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দোহা-ঢাকা ফ্লাইট আগের সূচি অনুযায়ীই চলছে। তবে পাঁচটি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বন্ধ থাকায় চাপ পড়েছে এই তিন এয়ারলাইন্সের ওপর।