গ্রুপ পর্বে একবার মুখোমুকি হয়ে গিয়েছে দুই দল। দু’দলেরই প্রথম ম্যাচ ছিল সেটা। ৪ জুন অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ভারতের কাছে রীতিমত বিধ্বস্ত হতে হয়েছে পাকিস্তানকে। বৃষ্টি আইনেও হারতে হয়েছে ১২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। সেই দুটি দলই এবার মুখোমুখি ফাইনালে। আগের ম্যাচে কী হয়েছে, সেটা কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়, ফাইনালে যে ভালো খেলবে সেই জিতবে শিরোপা।
পাকিস্তানের দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ মিকি আর্থার মনে করেন, অ্যাকিলিস হিলের মত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের একটা দুর্বলতা তিনি খুঁজে পেয়েছেন। যে দুর্বল জায়গায় আঘাত করতে পারলেই কেবল ওভালে পাকিস্তানের বিজয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব।
পাকিস্তান কোচের কাছে ভারতের টপ অর্ডার দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। বিশেষ করে দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা এবং তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা বিরাট কোহলি। এই তিনজনই ভারতের সাফল্যের সবচেয়ে বড় রূপকার। যার ফলে এখনও এই টুর্নামেন্টে ভারতীয় মিডল অর্ডার পুরোপুরি অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
মিডল অর্ডার আসলে কেমন করতে পারে সে পরীক্ষাটা এখনও হয়নি। যদি পাকিস্তানি বোলাররা সেই পরীক্ষার জায়গাটা তৈরি করে নিতে পারে, তাহলে শুরু থেকেই ভারতীয় টপ অর্ডারের ওপর আক্রমণ সৃষ্টি করতে পারবে এবং ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপকে বিপদে ফেলতে পারবে।
বোলিংই পাকিস্তানের একমাত্র ভরসা। বোলিংয়ের উপরই সবচেয়ে বেশি আস্থা কোচ মিকি আর্থারের। এছাড়া বিকল্পও নেই তাদের সামনে। এ কারণেই তিনি বললেন, ‘অবশ্যই আমাদের এটা (আক্রমণ) করতে হবে। আমাদের সামনে এর চেয়ে আর কোনো বিকল্পও খোলা নেই।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ডটকম ডটএইউকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে। এবং এটা নিশ্চিত করতে হবে যে নতুন বলটা আমাদের জন্য সত্যিই কাজ দিচ্ছে। আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে দ্রুত তাদের টপ অর্ডারকে ফিরিয়ে দেয়ার। তাহলে মিডল অর্ডারের পরীক্ষা নেয়া যাবে। কারণ, মিডল অর্ডার এখনও একটা বিধ্বংসী নয়। কারণ, এখনও চাপের মুখে তাদের ব্যাট করতে হয়নি।’
