তেজগাঁও রেলস্টেশন বস্তির ছিন্নমূল শিশুদের মুখে হাসি ফোটাল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মিডিয়া মিউজিয়াম ইয়ুথ ক্লাব’। ঈদের প্রাক্কালে সংগঠনটির শীর্ষ কর্মকর্তারা অর্ধশতাধিক পথশিশুর হাতে নতুন জামা তুলে দিয়েছেন।
অপ্রত্যাশিতভাবে নতুন জামা পেয়ে খুশিতে আটখানা শরিফুল, লতা, হেনাসহ উপস্থিত সব পথশিশু। কেউ কেউ ঈদের দিনের অপেক্ষা না করে নতুন জামা পরে পাশে দাঁড়ানো বন্ধুকে তাদের দেখতে কেমন লাগছে তা জিজ্ঞাসা করছিল।
জানা গেছে, ঈদে নিজেদের বাজেট থেকে টাকা সাশ্রয় করে ছিন্নমূল শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে গত নয় বছর ধরে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ‘মিডিয়া মিউজিয়াম ইয়ুথ ক্লাব’।
জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে ব্যতিক্রমধর্মী এ সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট এম এম বাদশাহ জানান, ২০০৯ সাল থেকে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের হাতে ঈদের নতুন পোশাক তুলে দেয়ার লক্ষ্যে মিডিয়া মিউজিয়াম অব বাংলাদেশ ‘ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি’ নামে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ঈদ বাজেটের টাকা সাশ্রয় করে তারা ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ঈদের দিনে এবার আমাদের আশেপাশে কোনো শিশুরও ছলছল চোখ দেখতে চাই না। তাই অনেকটা সময় হাতে রেখেই ক্যাম্পেইন শুরু করি। আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ছিন্নমূল শিশুদের জন্য আর্থিক সাহায্য নিয়ে অনেক বন্ধু ও হৃদয়বান স্বজনরা এগিয়ে এসেছেন।
যারা এ প্রচেষ্টাকে সফল করতে এগিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এম এম বাদশাহ। তিনি বলেন, এভাবে আমাদের যার যেটুকু সামর্থ আছে তা নিয়ে অসহায় শিশুদের মুখে হাসি ফোটালে, আগামীর ভবিষ্যত এই শিশুরা হাসবে, এগিয়ে যাবে দেশ।
ছিন্নমুল শিশুদেরই একজন শরিফুল ইসলাম। বাবা নেই। মা ও দুই বোনের সংসার। সংসারের চাকা সচল রাখতে সে একটি হোটেলে বাসন-কোসন পরিষ্কারের কাজ করে। নতুন জামা হাতে পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলার উপক্রম হয় তার।
পোশাক বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া মিউজিয়াম ইয়ুথ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এম. এম. বাদশাহ, ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজুল ইসলাম, মমিন হোসেন, ট্রেজারার মোহাম্মদ রবিউল্লাহ, প্রচার সম্পাদক মো. শাহজালাল এবং কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসেন।

















