সকল রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের অংশগ্রহণের মাধ্যদিয়ে নির্বাচন হবে । আমরা কাজের মাধ্যমেই প্রমান করবো আমরা নিরপেক্ষ : প্রধান নির্বাচন কমিশনার ।।

0
394

Sharing is caring!

মোঃ শাহাজাদা হিরা.

- Advertisement -

সিনিয়ার স্টাফ রির্পোটার.

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সল্প পরিষরের নির্বাচন হলেও আমরা প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রশাসন সহ বিভিন্ন মহলের সাথে কথা বলেছি। সকল রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে নির্বাচন হবে অবাদ ও সুষ্ঠ। আমরা কাজের মাধ্যমেই প্রমান করবো আমরা নিরপেক্ষ : বানারীপাড়া ও গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আইন- শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন । ৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রথমবারের মতো বরিশালে ছফরে এসে গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বরিশাল জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার। প্রেস ব্রিফিং এর আগে জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউসের সভাপতিত্বে গৌরনদী ও বানারীপাড়া উপজেলার পরিষদের উপ-নির্বাচন উপলক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব, মোঃ মোখলেচুর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, জেলা প্রশাসক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমীন, র্যা ব-৮’র অধিনায়ক লে কর্নেল আনোয়ার উজ জামান, বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার, এস এম আকতারুজ্জামান খান সহ আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনের প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী, প্রার্থীর সমন্বয়কারী এবং সংশ্লিস্ট প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় তাদের সাথে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সভায় স্বাগত বক্তব্যে সিইসি বলেন, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী, ভোটার এবং সংশ্লিস্ট মাঠ প্রশাসনের সহযোগীতা ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের গুনগত মানোন্নয়নের জন্য বর্তমান কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। আইনগতভাবে এখন স্থানীয় সরকার এবং জাতীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনেই রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিচ্ছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোই নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য বস্তু। রাজনৈতিক দলগুলো যদি অংশগ্রহন করেন, তারা যদি যোগ্য প্রার্থী দেয় এবং তারা যদি নির্বাচনী বিধি বিধান মেনে চলে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে তার জন্য সব ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে করা হবে। সিইসি বলেন, একসময় ছিলো রাজনৈতিক দল জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো কিন্তু এখন তা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। এজন্য রাজনৈতক দলগুলোকে সহযোগিতা করতে হবে। তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে, নির্বাচনী বিধি মানতে হবে। ব্রিফিংয়ে আগামী ৬ মার্চ বরিশালের গৌরনদী ও বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে ভোটারদের সমর্থন চেয়ে নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহবান জানান সিইসি। আগামী ৬ মার্চের নির্বাচনে নির্বাচন সংশ্লিস্ট সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তাই এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে কমিশন আশাবাদী। কোন কেন্দ্রে অনিময় হলে সংশ্লিস্ট সিইসি বলেন, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী, ভোটার এবং সংশ্লিস্ট মাঠ প্রশাসনের সহযোগীতা সিইসি বলেন, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী, ভোটার এবং সংশ্লিস্ট মাঠ প্রশাসনের সহযোগীতা যদি মনে করেন, আইনের ব্যতয় হয়েছে, তাহলে তারা তাৎক্ষনিক নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারবেন। নিয়মের ব্যতয় হলে সংশ্লিস্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা অভিযুক্ত হবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। আগামী বিভিন্ন নির্বাচনে ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) ব্যবহার নিয়ে সিইসি বলেন, এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কোথাও কোথাও টেস্ট কেস হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিনা, সেটা ভেবে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের সাথে মতবিনিময়ের পরই ডিভিএম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

(Visited 1 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here