আপনি কি সাফল্য অর্জন করতে চান? অথবা আপনার কোনো আপনজন কি ক্যানসারে ভুগছেন? কষ্ট পাচ্ছেন অ্যালার্জিতে? এমন নানা প্রশ্ন আছে আপনার মনে? বিভিন্ন সমীক্ষার ফলাফল দিচ্ছে তারই কিছু উত্তর৷
হিউমার’কর্মক্ষেত্রেসাফল্যআনে
যে ব্যক্তি সহকর্মী কিংবা বসকে কাজের মধ্যেও সহজে হাসাতে পারেন, তাঁর নাকি চাকরিতে উন্নতি হবেই৷ হ্যাঁ, মার্কিন গবেষকদের করা এক সমীক্ষা থেকে এমনটাই জানা গেছে৷ কারণ ‘বস’ বা সহকর্মীদের সাথে ‘হিউমার’ বা হাসিঠাট্টার মধ্য দিয়ে যে নিজের আত্মবিশ্বাস ও যোগ্যতা প্রমাণ যায়৷
সাহায্য করে দীর্ঘজীবী হন
যাঁরা নাতি-নাতনি বা অন্য মানুষের দেখাশোনা করেন, সাহায্য করেন, তাঁরা নাকি দীর্ঘ জীবন লাভ করতে পারেন৷ সুইজারল্যান্ডের বাজেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৫০০ জন বয়স্ককে নিয়ে একটি গবেষণা করে এই তথ্য জানতে পেরেছেন৷ গবেষণায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাঁরা অন্যদের সাহায্য করেন বা নাতি-নাতনিদের দেখাশোনা করেন, তাঁরাই ভালো আছেন৷
ক্যানসার চিকিৎসায় গানের ভূমিকা
দলের সঙ্গে গান গাওয়া ক্যানসার চিকিৎসার সহায়ক৷ এ তথ্য জানা গেছে ক্যানসার রোগীদের নিয়ে করা এক গবেষণা থেকে৷ গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ক্যানসার রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, মাত্র একঘণ্টা একযোগে গান গাওয়ার পর তাঁদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে এবং ‘স্ট্রেস’ বা মানসিক চাপের মাত্রা কমেছে৷ গবেষণাটি করেন লন্ডনের রয়েল কলেজ অফ মিউজিকের গবেষকরা৷
গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রভাব
গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে অনেকের যে শারীরিক সমস্যাও হয়ে থাকে, তা আর আজ কারো অজানা নয়৷ সুইজারল্যান্ডের ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে করা এক গবেষণা থেকে জানা যায়, ২০৫০ সাল নাগাদ গাছ এবং ফুলের রেণু বা পরাগের অ্যালার্জিতে কষ্ট পাওয়া রোগীর সংখ্যা শুধু ইউরোপেই বেড়ে হবে ৩৩ মিলিয়ন থেকে ৭৭ মিলিয়ন৷ অর্থাৎ গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর ফলে অ্যালার্জিও হতে পারে৷
পারিবারিক স্বাক্ষরতা দিবস
শিশুরা বই পড়ার মধ্য দিয়ে বুদ্ধিমান, সহানুভূতিশীল এবং ন্যায়বিচারসম্পন্ন হয়৷ একটি গবেষণা অন্তত সে কথাই জানিয়েছে৷ সে কারণেই হয়ত ক্যানাডায় ২৭জানুয়ারি ‘পারিবারিক স্বাক্ষরতা দিবস’ নামে একটি বিশেষ দিন রাখা হয়েছে৷ বিশেষ এ দিনকে উপলক্ষ্য করে শিশুরা পরিবারের বড়দের সাথে বই পড়ার আনন্দ উপভোগ করতে পারে এবং এতে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে৷
জড়িয়ে ধরা কষ্ট কমায়
আনন্দ বা দুঃখের কথা জানাতে বা অনভূতির প্রকাশ ঘটাতে আমরা কাছের মানুষদের জড়িয়ে ধরি৷ এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে৷ গবেষকরা জানান, জড়িয়ে ধরলে শরীরের সুখ-হরমোন সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং আনন্দ যেমন বাড়ে, তেমনি মনের ব্যথাও কমে৷ সকলেই জানি, শিশুরা কান্নাকাটি করলে বা ব্যথা পেলে ওদের কোলে তুলে নিলেই ওরা শান্ত হয়ে যায়৷ বড়দের ক্ষেত্রেও শরীরের স্পর্শ বা জড়িয়ে ধরা ব্যথা বা মনের কষ্ট সারাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে৷