বাংলাদেশের তরুণ পেস বোলারদের উপর আরো বেশি ভরসা করা যাবে যদি তাদের সেরাটা বের করে আনা যায়, বলছিলেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে দুই বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তির চোখে এই দুই বছরে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে খুব একটা এগোয়নি।
২০১৬ সালে তিনি বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দেন। তবে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে উন্নতি দেখছেন তিনি। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অভিজ্ঞ মাশরাফি মুর্তজার মতো এক পেসারকে দলে পেয়ে দারুণ খুশি ওয়ালশ। পেস বোলিং কোচের ধারণা, সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমানও।
ওয়ালশ স্বীকার করেছেন এখনো পেস বোলিং নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এখনো পেস বোলারদের নিয়ে কাজ চলছে। বেশ ক’জন ভালো তরুণ পেসার উঠে আসছে। তাদেরকে আরো সুযোগ দেয়ার দরকার না হলে বুঝা যাবে না তাদের মধ্যে কী আছে। আপনি যত বেশি খেলবেন, আপনার শেখার সুযোগটা তত বেশি হবে। তরুণ বোলারদের আরো বেশি খেলতে দেয়া উচিত।
ওয়ালশ বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা টেস্ট ক্রিকেট খুব বেশি পাই না। কিছু উন্নতি হয়েছে। আগেও বলেছি, আমার দায়িত্ব শেষে বাংলাদেশের পেস বোলারদের আমি খুব ভালো একটি অবস্থানে দেখতে চাই।’
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ওয়ালশ দেখছেন, পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি। কাছ থেকে দেখে দেশের অন্য পেসারদের সঙ্গে মাশরাফির পার্থক্য ভালোভাবেই চোখে পড়েছে ওয়ালশের।
তিনি বলেন, ‘মাশরাফির অভিজ্ঞতা ও ওর স্কিলসেট অন্যদের থেকে অনেক আলাদা। আরও ভালো। বরাবরই সে দারুণ এক পেস বোলার। ইনজুরি না থাকলে এখনও হয়তো সে টেস্ট ক্রিকেট খেলত। কিন্তু ইনজুরির কারণে সে সব সংস্করণ খেলতে পারছে না। অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশের জন্য যে খুবই উঁচুমানের পেস বোলার।
ওয়ালশ বলেন, ‘নিজের সামর্থ্যরে পুরোটাই সে দিতে চায়। তরুণদেরও এই ক্ষুধা থাকতে হবে। আমরা শুধু আড়াল থেকে কাজ করতে পারি। কিন্তু তরুণদের মাঠে নেমে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করতে হবে। ম্যাশ তার পারফরম্যান্সকে আত্মসম্মান হিসেবে দেখে। তরুণদেরও উচিত মাশরাফির কাছ থেকে শেখা।
হিথ স্ট্রিকের সময়ে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে ফাস্ট বোলিং গড় ছিল ৪৪ দশমিক ৭৩ আর উইকেট প্রতি বল খরচ হয়েছে ৯০ দশমিক ৮ বল। ওয়ালশের সময়ে স্টাইক রেট কিছুটা ভালো হলেও (৮৭ দশমিক ৫) কিন্তু গড় বোলিং খারাপ হয়ে ৫৩ দশমিক ৬৬ হয়েছে।