মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের বিষয়ে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগে যে ৭টি মুসলিম দেশের ওপর তিনি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন সেটি সংশোধন করে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সোমবার (৬ মার্চ)।
পূর্বের নিষেধাজ্ঞা তালিকা থেকে ইরাকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বাকি ৬টি দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১২০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের শরণার্থী কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। এখন থেকে এক লাখ দশ হাজার নয়, পঞ্চাশ হাজারের বেশি শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হবে না।
মার্কিন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী নতুন নির্বাহী আদেশে ইরাকের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। অন্য যে ছয়টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকছে সেগুলো হলো-সিরিয়া, ইরান, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদান। এর আগে ২৭ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ইরাকসহ ওই সাত দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
নতুন নির্দেশনায় তালিকাভুক্ত দেশের যে সমস্ত অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড রয়েছে, যারা কূটনৈতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যাদের আগে রাজনৈতিক আশ্রয় বা শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে তাদের প্রতি এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকছে।
হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার কথা ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান জন কেলি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ও অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এ নিষেধাজ্ঞাকে মুসলিম নিষেধাজ্ঞা বলা যাবে না। কারণ এ নিষেধাজ্ঞার ফলে অন্য দেশগুলোর মুসলিম নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কোনো বাধার মুখে পড়তে হবে না।
নতুন নির্বাহী আদেশ চলতি বছর ১৬ মার্চ থেকে কার্যকর করা হবে।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্বাহী আদেশের সংবাদ পাওয়ার পর নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।