ডিসমিসালে ‘সেঞ্চুরি’ করতে হলে আরও চারটি উইকেট পেতে হতো উইকেটরক্ষক মুশফিককে। দ্বিতীয় সেশনেই সেটা পূর্ণ করেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকের উপর আস্থা হারিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। এজন্য একাদশে তিনি থাকলেও উইকেটের পেছনে লিটন কুমার দাসকে প্রথম টেস্টে দেখা গিয়েছিল। ব্যাটিংয়ে মনোযোগ বাঁড়াতে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে গল টেস্টে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছিলেন মুশফিক।
তবে লিটনের ইনজুরিতে কলম্বো টেস্টে ফের গ্লাভস হাতে তুলে নেন মুশফিক। মাইলফলক থেকে ছিলেন ৫টি ডিসমিসাল দূরত্বে। প্রথম ইনিংস শেষে সেটা নামিয়ে আনেন চারে। আর ম্যাচের চতুর্থ দিন বুঝিয়ে দিলেন ফুরিয়ে যাননি তিনি।
যদিও শুক্রবার লঙ্কানদের দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতে ছাড়েন দিমুথ করুনারত্নের ক্যাচ। এক জীবন পেয়েই করুনারত্নে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন।
এর পর আর কোনও ভুল করেননি মুশফিক। একে একে তালুবন্দি করেছেন কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্দিমাল, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও ডিকবেলাকে। আর তাতেই শততম টেস্টে শততম ডিসমিসাল পূর্ণ হয় মুশফিকের।
উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্টে মুশফিকের ক্যাচ ৮৮টি, স্টাম্পিং ১২টি। ফিল্ডার হিসেবে আউট ফিল্ডে নিয়েছে একটি ক্যাচ। ডিসমিসালে তার পেছনে খালেদ মাসুদ, ৮৭টি।
শুধু টেস্ট নয়, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল মুশফিকের। ওয়ানডেতে ১৭১ ও টি-টোয়েন্টিতে ৪৫টি।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে কলম্বোর পি সারা ওভালেই মুশফিক প্রথমবারের মতো উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন। অভিষেক ম্যাচে কোনও ডিসমিসাল করতে পারেননি তিনি। পরের বছর ডানেডিনে টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ক্যাচ নিয়ে ডিসমিসালের ঝুলি খোলেন মুশফিক।