বেতাগী তেল ও চালের বাজারে আগুন !

0
105

Sharing is caring!

বরগুনার বেতাগীতে হাঁট বাজারে শীতকালীণ সবজিসহ পেঁয়াজ ও আলুতে স্বস্তি মিললেও ভোগান্তি বাড়ছে চাল ও ভোজ্যতেলের দামে। এরই মধ্যে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লাফিয়ে আরও একদফা বেড়েছে। খোলা তেল ও পাম তেলের দামও বাড়তি। অন্যদিকে নতুন করে দাম না বাড়লেও চালের দাম এখনো নাগালের বাইরে।

- Advertisement -

উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরু মিনিকেট চাল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে বি-আর আটাশ চালের কেজি ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি। মোটা চালের কেজি এখনও ৪৮ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেল বিভিন্ন ব্র্যান্ডভেদে প্রতিলিটার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটার বোতলে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৯০ টাকায়। ‘বাজারে পুষ্টি ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটারের বোতল ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা, বসুন্ধরা ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা এবং রুপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৫৭৫ থেকে ৫৯০ টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতাদের এমনই হতাশার খবর মিলেছে।

পৌরশহরের মাতৃ ট্রেডার্সের তেল বিক্রেতা অশোক বাবু বলেন, ‘নতুন করে না বাড়লেও খোলা ও পাম তেলের দাম আগে থেকেই বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা তেলের কেজি এখন ১২২ থেকে ১২৩ টাকা এবং পাম তেল ১০৮ থেকে ১০৯ টাকা কেজি। বর্তমানে খোলা তেলের এক ড্রাম ১৮৬ লিটার আমাদের কিনতে হচ্ছে ২২ হাজার ২শ টাকায় এবং পাম তেলের এক ড্রাম ১৮৬ লিটার ১৯ হাজার ৭শ টাকায়। সুতরাং কমে বিক্রি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’

খুচরা একাধিক দোকানিরা বলেছেন, ‘সয়াবিন তেলের দাম গত ডিসেম্বর থেকে দফায় দফায় বেড়েই চলেছে। কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয় বিধায় খুচরাতেও দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলজাত তেলের দাম বেড়েছে ৫ টাকা।’

বেতাগী বন্দরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যক্রয় করতে আসা মো. আব্দুস সোবাহান অভিযোগ করেন, বর্তমানে চালের মৌসুম থাকলেও লাগামহীন দাম এবং নিয়ন্ত্রনহীন তেলের দাম নিয়ে খুবই হতাশায় কাটাচ্ছি। ’

দিনমজুর মো. দুলাল মিয়া তার অনুভুতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বোতল তেলের দাম কেনার সামর্থ্য আমাদের নেই। তাই খোলা তেল কিনে খাই। সেটার দামও বেড়েছে। এখন প্রতিলিটার তেল ১২২ টাকা হইছে। এতো দামের তেল কিনে কীভাবে সংসার চালাবো বুঝে পাই না।’

পেঁয়াজের দাম অবশ্য বাজারে আগের চেয়ে কমেছে। এক সপ্তাহ আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের কেজি এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা। অপরদিকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। সবজি ও আলুর দামও কমেছে। বেশির ভাগই ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শিম,আলু, শালগম, মুলা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি। অন্যান্য সবজির কেজি মিলছে ৫০ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন শাকের দামও কমতির দিকে এবং আঁটিপ্রতি পাওয়া যাচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকার মধ্যে।

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন,‘ নির্ধারিত দামের চেয়ে কেউ বেশি দাম রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(Visited 1 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here