বিভিন্ন সময়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান রাখা ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে গণভবনে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অবদান রাখা ক্রীড়াবিদদের হাতে আর্থিক পুরস্কারও তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
মূলত, গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের যেসব খেলোয়াড় ব্যক্তিগত বা দলগতভাবে দেশে এবং দেশের বাইরে ক্রীড়াক্ষেত্রে অংশ নিয়ে বিশেষ সাফল্য এনেছেন তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় গণভবনে।
অনুষ্ঠিত উপস্থিত ছিলেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখা ৩৩৯ খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তা। ২০১৬ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমসের তিন স্বর্ণপদকজয়ীর হাতে অ্যাপার্টমেন্টের চাবি হাতে তুলে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এরা হলেন সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা, ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও শ্যুটার শাকিল আহমেদ।
পরে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল, মেয়েদের ক্রিকেট দল, মেয়েদের ফুটবল দল, অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবল দল, বধির ক্রিকেট দল, বিশেষ শীতকালীন অলিম্পিক দল, ছেলে ও মেয়েদের আরচারি দল, রোলার স্কেটিং দল, ছেলে ও মেয়েদের হ্যান্ডবল দল, হকি দল, শ্যুটিং দল, ভারোত্তোলক দল, ভলিবলদল ও জুনিয়র মেয়েদের ব্যাডমিন্টন দলকে পদক ও টাকার চেক দেন।
ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা ও টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এক কোটি টাকা পুরস্কার নেন। শ্রীলঙ্কায় চমৎকার পারফরম্যান্স করায় দলকে এ টাকা দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)।
এছাড়া হকি ও সাঁতার ফেডারেশনের প্রত্যেককে এক কোটি করে টাকা দেন প্রধানমন্ত্রী। গত আগস্টে ঢাকায় এএফসি আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৬ দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তার পুরস্কার হিসেবে দলটিকে শেখ হাসিনা দেন ১০ লাখ টাকা। অনূর্ধ্ব-১৬ দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটনের হাতে চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনটি ক্ষেত্রেই টাকার উৎস বিসিবি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে সরকার। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দিয়েছেন তিনি বক্তব্যে। এছাড়া ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে ও খেলাধুলার মেধা বিকাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।