কৃষক ও কৃষাণি ভাইবোনদের বিশেষ করণীয় ও সর্তকতা–
নবান্নের উৎসব ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। অঘ্রানের মৌ মৌ গন্ধ চারিদিকে সুরভি ছড়াচ্ছে। কৃষক কৃষাণিরা ব্যস্ত আছে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াইসহ নানা কাজে। একাজ গুলো করার সময় অনেকেই চোখে আঘাত পেয়ে মারাত্বকভাবে আহত হয়। ফলে তাদেরকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন সহ অনেক সময় অন্ধত্বের অভিশাপও গ্রাস করে। তাই এ ব্যাপারে কৃষক কৃষাণি ভাইবোনদের বিশেষ পরামর্শ।
১. কৃষি কাজের সময় বিশেষত ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই, শুকানো ধান সিদ্ধ এবং ঢেঁকিতে চাল তৈরিকালীন চোখে সাদা চশমা ব্যবহার করবেন।
২. প্রয়োজনে স্বচ্ছ কাচের চশমা ব্যবহার করুন। ফলে চোখে আঘাত লাগবে না। চোখের দৃষ্টির ক্ষতি হবে না। মূল্যবান চোখ রক্ষা পাবে।
৩. চোখের আঘাত যত সামান্যই হোক, আঘাতের কিছুক্ষণ পর আরাম বোধ করলেও, যেদিন আঘাত পেয়েছেন সেই দিনই অবহেলা না করে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে যাবেন। কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ সব সরকারি হাসপাতালে চোখের আঘাতের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে।
৪. ঝাড় ফুঁক, পানি পড়া, তেল পড়া, কবিরাজি, হাতুড়ে অ্যালোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক ইত্যাদি অপচিকিৎসা থেকে বিরত থাকুন। এতে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৫. তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ ওষুধের দোকান থেকে ক্লোরামফেনিকল চোখের মলম ব্যবহার শুরু করে অতি দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অথবা কাছাকাছি চক্ষু বিশেষজ্ঞের নিকট গিয়ে চিকিৎসা পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন সুস্থ দেহ আর চোখের দৃষ্টি আপনার সম্পদ। এ সম্পদ হারালে রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার জীবন হবে দুর্বিষহ,পরিবার ও সমাজের বোঝা। একবার দৃষ্টি হারালে বা অন্ধ হয়ে গেলে লাখ লাখ টাকা খরচ করেও মূল্যবান চোখ ফিরে পাবেন না।
তথ্য – সংগৃহীত ও সংকলিত .