অনলাইন ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আয়োজনে জাতিসংঘ সংস্কার বিষয়ক এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার সকালে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘হাই লেভেল মিটিং অন ইউএন রিফর্ম’ শীর্ষক এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘ সংস্কার নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, আমলাতন্ত্র ও অব্যবস্থাপনার কারণে জাতিসংঘের সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটছে না।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে শেখ হাসিনা এখন নিউ ইয়র্কে। তিনি আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পক্ষে তার বক্তব্য তুলে ধরবেন, যেখানে রোহিঙ্গা সঙ্কট আলোচিত হবে।
সোমবার বিকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আরও দুটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশ নেবেন। এগুলো হল ‘হাই লেভেল মিটিং অন দ্য প্রিভেনশন অব সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অ্যান্ড অ্যাবিউজ’ এবং ‘হাই লেভেল ফলোআপ মিটিং অব গ্লোবাল ডিল ফর ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ’।
এদিন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোগবে এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
রোববার বিকালে নিউ ইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবার এমন এক সময়ে বিশ্ব নেতারা জাতিসংঘ অধিবেশনে মিলিত হচ্ছেন, যখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গার পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন।
কয়েক যুগ ধরে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসা বাংলাদেশের এই দফায় আরও প্রায় চার লাখ শরণার্থী প্রবেশ করেছে। রাখাইনের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই সংখ্যা ১০ লাখে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোহিঙ্গাদের এই মানবিক সঙ্কট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও মিয়ানমার তাদের অবস্থানে অনড়।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কটের ‘মূল কারণগুলো’ তুলে ধরে তা নিরসনে বাংলাদেশের প্রস্তাব তিনি বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরবেন শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হলেও মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এবার জাতিসংঘ অধিবেশনে যাচ্ছেন না।