একুশের প্রথম প্রহরে বরিশালে পূস্পার্ঘ অর্পণ করে প্রশাসনসহ সর্বস্থরের মানুষ।

0
136

Sharing is caring!

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে যথাযথ মর্যাদায় একুশের প্রথম প্রহরে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। গতকাল ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টা ১ মিনিটে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ম মেনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে একুশের প্রথম প্রহর।

- Advertisement -

ভাষা শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী), বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য, স্থানীয় ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য এবং বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি। এরপর বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি এহসান উল্লাহ, বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান, পুলিশ সুপার বরিশাল সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পাশাপাশি হাজার হাজার সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনে ভিন্ন মাত্রা পায় শহীদ মিনার চত্বর।

জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান এর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা প্রশাসন পরিবারের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয় এসময় বরিশাল জেলার উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বরিশাল মো শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরিশাল শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরিশাল তৌহিদুজ্জামান পাভেল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বরিশাল প্রশান্ত কুমার দাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল রাজিব আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরিশাল, মোশারফ হোসেন, সকল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বরিশালসহ জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারী বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান বলেন একুশে ফেব্রুয়ারি একদিনের অর্জন নয়, তাই বাঙ্গালী জাতির জীবনে প্রতিদিনি একুশে ফেব্রুয়ারি হওয়া উচিত। ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এর পাশাপাশি বাংলা ভাষার অবাদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

তবেই একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মানুষের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন হয়ে উঠবে। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালামসহ কয়েকজন ছাত্রযুবা হতাহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ভাষাশহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। যা অমর একুশে প্রতীক আমাদের শহীদ মিনার। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ২০১০ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। নিরাপত্তায়, পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন, আনসার, রোভার স্কাউট ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা নিয়োজিত ছিল। একুশের প্রথম প্রহরে ১২টা ১ মিনিটে শুরু হওয়া এই শ্রদ্ধা নিবেদন চলবে দুপুর ১২ পর্যন্ত।
(Visited 1 times, 1 visits today)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here