২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেলে (এমবিবিএস ও বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছরের (২০১৬) এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
একই সঙ্গে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার আগের বছরে সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ নম্বর কেটে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
সচিবালয়ে রবিবার (৪ জুন) আসন্ন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তি সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের কোটা আগের মত ৫০ শতাংশ বহাল থাকবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিডিএস-এর কোর্স এর মেয়াদ পাঁচ বছর হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ইতিহাসে গত শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাকে বিতর্কিত করার জন্য অতীতে গুজব ছড়ানো হতো। কিন্তু গত বছর জোরালো নজরদারি ও সর্বোচ্চ নিখুঁত প্রক্রিয়া অনুসরণ করায় কোনো বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ কেউ পায়নি। আগামীতেও এটা অক্ষুণ্ন রাখতে এখন থেকেই প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ এখন অন্যান্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি অনুসরণ করার আগ্রহ দেখাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান বাড়াতে সরকারের কঠোর মনোভাব ও পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।’
বেসরকারি কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে একাজে ওভার সাইট কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সুশীল ব্যক্তিত্বদের সম্পৃক্ত করার জন্যেও তিনি পরামর্শ দেন।
মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট দূর করতে চিকিৎসকদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া নিয়মিতকরণের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি এক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা কমানোর জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় জানানো হয়. মানিকগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজকে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হিসাবে নতুন নামকরণের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন।
সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিয়ান্স এন্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ, বিএমএ মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক দুলাল, কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মাকসুদ, দৈনিক প্রথম আলো’র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুমসহ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।